নব্যেন্দু হাজরা: ঠিক ন’বছর আগে এমন ঠান্ডা পড়েছিল জানুয়ারির শেষে। তারপর এবার। শীতের কামড়ে জবুথবু বঙ্গবাসী। দিনভর উত্তুরে হওয়ায় কনকনে ঠান্ডা সর্বত্র। ৩১ জানুয়ারি এ মাসের শীতলতম দিন। কিন্তু আর কত দিন থাকবে এই হাড় কাঁপানো শীত, কী বলছে হাওয়া অফিস?
২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি হয়েছিল ১২.১ ডিগ্রি। আর এবারও শনিবার কলকাতায় রেকর্ড পারদ পতন হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। রবিবার সকালে সেই রেকর্ডও ভেঙে দিল কনকনে উত্তুরে হাওয়া। পারদ নেমে দাঁড়াল ১১.৮ ডিগ্রিতে। এখনও পর্যন্ত এটাই রেকর্ড পারদ পতন কলকাতার।
[আরও পড়ুন: জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনে ছাড়ের মেয়াদ আরও বাড়ল, স্বস্তি দিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের]
পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিনবঙ্গেরও বেশিরভাগ জেলাতেই এদিন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। জাঁকিয়ে শীত থাকবে আরও দুদিন। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়বে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তিন ফেব্রুয়ারি থেকে পশ্চিমের এবং উত্তরের জেলাগুলোতে শুরু হবে বৃষ্টি। আর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে চার ও পাঁচ তারিখ।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সোমবার পর্যন্ত হু হু করে রাজ্যে ঢুকবে উত্তুরে হওয়া। যার জেরেই এই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে হওয়ার গতি কিছুটা কমবে। যার জেরে তাপমাত্রা বাড়বে। ঠাণ্ডাও কমবে। শনিবার এক ধাক্কায় অনেকটাই পারদপতন হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমেছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম। আর তাতেই জানুয়ারির শেষে দিনভর ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরেছে রাজ্যবাসীর। রোদ উঠতেই একেবারেই রেকর্ড ঠান্ডা এই সময়ে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে করোনা গ্রাফের নিম্নমুখী ট্রেন্ড অব্যাহত, টিকাকরণে নয়া নজির ভারতের]
তবে এই শীত খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। বড়জোর দিন দুয়েক। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন ও চার ফেব্রুয়ারি পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গের জেলাতে এবং চার ও পাঁচ ফেব্রুয়ারি কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এবং এই বৃষ্টির পিছনেও সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস বলেন, “সোমবার পর্যন্ত এমনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা থাকবে। তবে তারপর থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। চার ও পাঁচ তারিখ কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।”