অর্ণব আইচ: আটদিনের মধ্যে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু। মৃতদের দু’জনের শরীরে করোনা নেগেটিভ। বাকি একজনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের মৃত্যেুর ঘটনা ঘিরে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারই জেরে পরিবারের ১৭ জনকে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে।
পুলিশ ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাগান থানা এলাকার টেগোর ক্যাসল স্ট্রিটে ঘটল এই ঘটনা। এখানেই একটি বাড়িতে থাকতেন যৌথ পরিবারের ২০ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে প্রথমে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের জ্বর আসে। তাঁর কাশিও হয়। সন্দেহের বশে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তিনি হাসপাতালে ভরতি হতে না হতেই তাঁর ৬৯ বছর বয়সের দাদার জ্বর হয়। সন্দেহের বশে তাঁকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দু’জনের লালারস পরীক্ষা করার পর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু গত ১৯ এপ্রিল এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তার দিন চারেক পর ২৩ এপ্রিল মৃত্যু হয় তাঁর দাদার। রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার কারণে তাঁদের দু’জনের দেহই শেষকৃত্যের জন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যেই একইরকম অসুস্থ হয়ে পড়েন মৃত দুই বৃদ্ধের আরও এক পরিজন।একই পরিবারের সদস্য ও বাড়ির বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের বয়স ৫৭ বছর। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভরতি করার আগেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর লালারসও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার রিপোর্ট এখনও আসেনি।
[আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিলীপ ঘোষ! উইকিপিডিয়ার তথ্যে বিভ্রান্তি তুঙ্গে]
আট দিনের মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্যেরর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই পরিবার ও তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি পুলিশ ও পুরসভা জানতে পারে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলোরা সাহা জানান, কোনও ঝুঁকি না নিয়েই ওই পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে রাজারহাটে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বাড়ি ও পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকায় কতটা খুশি জনগণ? সমীক্ষা করছে বঙ্গ বিজেপি]
The post জ্বরে ভুগে আটদিনে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু, আতঙ্ক জোড়াবাগানে appeared first on Sangbad Pratidin.
