সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধুন্ধুমার কাণ্ড তুরস্কের পার্লামেন্টে। শুক্রবার একে ওপরের সঙ্গে বচসায় জড়ান শাসক ও বিরোধী দলের আইন প্রণেতারা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। চুল ধরে টানাটানি, ঘুষি, লাথি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। এমনকী এক পর্যায় রক্তারক্তি পর্যন্ত ঘটে। আহত হন ২ সাংসদ। সংসদ ভবনের ভিতরে এই বেনজির ঘটনায় নিন্দা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কিন্তু কী নিয়ে এই বচসা বাঁধে? সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বিরোধী শিবিরের জেলবন্দি সাংসদের সাংবিধানিক সুরক্ষা কবচ কেড়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। জানা গিয়েছে, গত বছরই সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ক্যান আটলায় নামে এক আইনজীবীকে। কিন্তু জেলে বসেই ভোটে লড়াই করেন তিনি। নিজের কেন্দ্রে জিতে সাংসদও নির্বাচিত হন। এদিন পার্লামেন্টে আটলার সুরক্ষা কবচ কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। আলোচনার পর বক্তৃতা দিতে ওঠেন তুরস্কের বিরোধী দল ওয়ার্কার পার্টির (টিআইপি) সাংসদ আহমেট সিক।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা কত? রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রসংঘ]
বিরোধীদের অভিযোগ, তখনই শাসক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) সদস্য আলপে ওজালান তেড়ে যান সিকের দিকে। সজোরে ঘুষি মেরে দেন সিকের মুখে। এর পরই একেপি-র অন্যান্য সাংসদরাও হাতাহাতি শুরু করেন। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শাসক-বিরোধী হাতাহাতিতে আহত হন অন্য দুই দলের সাংসদ। দুজনেরই মাথায় আঘাত লাগে। মুহূর্তের মধ্যে তুরস্কের পার্লামেন্টের এই অপ্রীতিকর ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। এই হাতাহাতির কড়া নিন্দা জানিয়েছেন শাসক দল একেপি-র প্রধান ওজগার ওজেল। তিনি জানান, "এই পরিস্থিতির সাক্ষী হিসাবে আমি খুব লজ্জিত বোধ করছি।" এদিন প্রায় ৩০ মিনিট এই ঝামেলা চলে। যার জেরে অধিবেশন মুলতুবি করেন পার্লামেন্টের স্পিকার। ভিডিও ভাইরাল হতেই এই ঘটনার নিন্দা শুরু হয় সর্বত্র।