সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওয়ানদের হত্যার বদলা নিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তাদের হাতে নিকেশ লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার উমর মুস্তাক খাণ্ডে-সহ আরও এক। শনিবার সকাল থেকেই কাশ্মীরের পাম্পোরের দ্রাংবাল এলাকায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়। দুপুর গড়াতেই দুই জেহাদির (Terrorist) নিকেশের খবর মেলে।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত কাশ্মীর (Kashmir)। দিন কয়েক আগে বাঘাতে চা পানের সময় সেনা জওয়ান মহম্মদ ইউসুফ এবং সুহেল আহকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। আর এই ঘটনার মূলচক্রী ছিল লস্কর নেতা (Lashkar-e-Taiba or LeT) উমর। এদিন সঙ্গীদের হত্যার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। তাঁদের কথায়, ভূস্বর্গে সন্ত্রাসদমনের অভিযান লাগাতার চলবে। আর লস্করের অন্যতম বড় নেতার মৃত্যু জঙ্গিদের মেরুদণ্ড গুড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: Singhu lynching: কার সঙ্গে সিংঘু সীমান্তে গেলেন লখবীর, প্রশ্ন তুলছেন নিহতের পরিবার]
এদিন সকাল থেকেই কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় চিরুণি তল্লাশি শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনার যৌথবাহিনী। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পাম্পোরের দ্রাংবাল এলাকার একটি তিনতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পালটা বাড়ির ভিতর থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জেহাদিরা। জবাব দেয় বাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে দুই সন্ত্রাসবাদী নিকেশ হয়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। মিলেছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি।
[আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানেরও পিছনে ভারত! তালিকাকে ‘অবাস্তব’ বলে দাবি কেন্দ্রের]
কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ৮ অক্টোবরের পর থেকে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে ৯টি এনকাউন্টার হয়েছে। সেখানে ১১ জন জেহাদি নিকেশ হয়েছে। এদিন লস্করের আরও এক শীর্ষ নেতার মৃত্যু হল।