২৫ জানুয়ারি ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডে। দেশের অর্থনীতিকতে চাঙ্গা করতে ট্যুরিজম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষকে ট্যুরিজমের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এই দিবস উদযাপন মোদি সরকারের। ন্যাশনাল ট্যুরিজম ডে উপলক্ষ্যে ঘুরতে যাওয়ার সন্ধান সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
মালদ্বীপ নয়, দেশীয় সৌন্দর্যের খোঁজে ব্যাগ প্যাক করে বেরিয়ে পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই। সত্যিই তো, মোটা টাকা খরচ করে মালদ্বীপ না গিয়ে এমন নানা সৈকত ঘুরতে পারবেন, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মালদ্বীপের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অথচ খরচও কম। এই প্রতিবেদনে রইল দেশের তেমনই কিছু মন ভালো করা সৈকতের খোঁজ।
হ্যাভলক আইল্যান্ড: বর্তমানে এই সৈকত পরিচিত স্বরাজ দ্বীপ নামে। আন্দামানের এই দ্বীপে পা রাখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সৈকতের ধারেই গড়ে উঠেছে নানা রিসর্ট। খরচ আপনার সাধ্যের মধ্যেই। স্বচ্ছতার জন্য এই হ্যাভলক আইল্যান্ডের রাধানগর সৈকতের মাথায় উঠেছে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা সারাজীবন মনে থাকবে। এছাড়াও এলিফ্যান্ট সৈকত, কালা পাথর সৈকত, বিজয় নগর সৈকতের শান্ত পরিবেশ আপনার মন কাড়তে বাধ্য। স্কুবা থেকে স্নর্কনিং, নানা ধরনের ওয়াটার স্পোর্টসের অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারেন।
লাক্ষাদ্বীপ: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখা গিয়েছে লাক্ষাদ্বীপের সৈকতে। আর সেসব ছবি যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন, তাঁদের আর নতুন করে এখানকার সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। সমুদ্রের উপর কাঠের ঘরে থাকা কিংবা সাগরের নীল জলের বুক চিরে স্পিড বোডে অনন্তের দিকে এগিয়ে চলার আনন্দ ভাষায় বোঝানো কঠিন। এখানেও নানা ধরনের ওয়াটার স্পোর্টস উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
রামেশ্বরম আইল্যান্ড: তামিলনাড়ুর এই সৈকতে অন্তত একবার হলেও ঘুরে আসুন। বঙ্গোপসাগরের একেবারে অন্য রূপের সাক্ষী থাকবেন এখানে। দেশের দীর্ঘতম সেতু এই দ্বীপকে শহরের সঙ্গে যোগ করে। এই আইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন ঐশ্বরিক, তেমনই শ্রী রামনাথস্বামী মন্দিরে পা রেখে এখানকার সংস্কৃতিকে আরও কাছ থেকে জানার সুযোগ পাবেন।
দিবার আইল্যান্ড: গোয়ার এই সমুদ্রসৈকত এখনও অনেকের কাছেই অচেনা। পাঞ্জিম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এই স্বচ্ছ সৈকতে বসে সময় কখন কেটে যাবে, টেরও পাবেন না। গোয়ার অন্যান্য সৈকতে গিয়ে যদি ভিড় দেখেন, তাহলে চটপট সেখান থেকে পাত্তারি গুটিয়ে দিবার আইল্যান্ডে ঢুঁ মারুন।
দিউ আইল্যান্ড: গুজরাটের দক্ষিণে অবস্থিত দমন ও দিউর অন্তর্গত এই আইল্যান্ডে পর্তুগিজ সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে। সমুদ্রের অপূর্ব দৃশ্য দর্শনের পাশাপাশি এখানকার ঐতিহাসিক চার্চ কিংবা দিউ ফোর্টও ঘুরে নিতে পারবেন।