সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতারে বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) দেখতে ভিড় জমিয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে মারত্মক রোগজীবাণু। করোনার (Corona) মতো ভয়াবহ অতিমারী ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সকলের চিন্তা বাড়িয়ে এই কথা জানালেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, কাতার থেকে করোনার সমগোত্রীয় একধরণের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরে আবারও অতিমারীর মুখে পড়তে পারে গোটা বিশ্ব।
একটি গবেষণা পত্রে প্রকাশিত হয়েছে, কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন একাধিক জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে করোনা ও মাঙ্কিপক্স। এছাড়াও রয়েছে ক্যামেল ফ্লু। ডাক্তারি ভাষায় এর নাম মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম। করোনার মতোই আচরণ করে এই ভাইরাসটি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে এই জীবাণুর প্রভাব বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলোয়াড়, কোচ থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক-সকলেই এই ক্যামেল ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, এই ক্যামেল ফ্লুর জীবাণু থেকেই ভবিষ্যতের অতিমারী ছড়িয়ে পড়বে।
[আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষ জামশেদপুরকে ‘দুর্বল’ ভাবতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল, ডিফেন্সে বদলের পথে কোচ]
ক্যামেল ফ্লু ছাড়াও একাধিক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কাতারে। ওই গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে- ডায়রিয়া,ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া,হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন পর্যটকরা। মারাত্মক রোগ জীবাণু ছড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ বদনাম রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উটের। সতর্কতা হিসাবে উটদের স্পর্শ করতে বারণ করা হয়েছে পর্যটকদের। সেই সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলতে বলা হয়েছে। কাতারের তরফে এই রোগের চিকিৎসার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখা আছে বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা বোঝা খুবই কঠিন, কারণ প্রাথমিকভাবে রোগের কোনও উপসর্গ দেখা যায় না।
করোনা অতিমারীর পরে ফুটবল বিশ্বকপের মতো বড় মাপের টুর্নামেন্ট খুব কমই হয়েছে। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ নানা দেশ থেকে এই টুর্নামেন্ট দেখতে গিয়েছেন। ফলে একাধিক দেশে ক্যামেল ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাতারের মতো ছোট দেশকে কেন মেগা টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল ক্যামেল ফ্লুয়ের নামও।