সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষ স্বভাবতই নিজেকে ভালোবাসে। নিজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে আপনি যে কোনও অসাধ্য় সাধন করতে পারেন। ভালোবাসার জন্য় যে একজন বিশেষ কাউকে দরকারই সব সময় এমনটা নয়। হতেই পারে আপনার কোনও সঙ্গী নেই। কিন্তু তাই বলে মনে দুঃখ নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন? নৈব নৈব চ। বরং সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। সময় বের করে নিজের জন্য় যেমন ফুল, চকোলেট কিনতেই পারেন, একদিন রান্না করে নিজেকে ট্রিটও দিতে পারেন আপনি।
নিজের প্রাপ্য় ভালোবাসা ও যত্নটুকু নিজেকে দিন। নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে সম্মান করুন। একঘেয়ে রুটিন থেকে বেরিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পাড়ি দিতে পারেন দূরের কোনও পথেও। 'সোলো ট্রিপে' জীবনের আনন্দ খুঁজে নিন নিজের মতো করে। বিশেষজ্ঞরাও আজকাল 'সেল্ফ লাভ'-এর উপরে জোর দিচ্ছেন।
নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করুন। স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। একটা স্বপ্ন পূরণ হলে আর একটা স্বপ্নের পিছনে ছুটুন। দেখবেন জীবন থেকে একঘেয়েমি চলে যাবে। একইসঙ্গে নিজের শখগুলো পূরণ করুন। হতেই পারে আপনার আঁকা, গান, গিটার বাজানো বা রান্না করার প্রতি আলাদা প্য়াশন রয়েছে। সময় বের করে সেই শখের প্রতি একটু সময় দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। সঙ্গীর অভাব বোধ করবেন না।
চার দেওয়ালের মধ্য়ে নিজেকে বন্দি না রেখে বেরিয়ে পড়ুন ভালোবাসা উদযাপনে। দেখে ফেলতে পারেন পছন্দের কোনও সিনেমা। কিংবা চলে যান পছন্দের রেস্তরাঁয়। পার্লারে গিয়ে অথবা বাড়িতে স্পা করুন। অসাধারণ কিছু গান শুনুন। মনে রাখবেন, সবসময় সুন্দর বাড়ি- গাড়ি মানেই কিন্তু জীবন সুন্দর নয়। জীবনে 'পারফেক্ট পিকচার' বলে কিছুই হয় না। বরং জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন।
নিজেকে ভালোবাসার অভ্য়াস তৈরি করুন। নিজেকে ভালোবাসলে তবেই নিজের জন্য় সময় পাবেন। মনে রাখবেন কখনই কাউকে কিছু দিয়ে খুশি করতে পারবেন না। আর তাই অতিরিক্ত কিছু দিয়ে মন জয় করার চেষ্টা না করাই ভালো।
জীবনে একাকীত্বটাও জরুরি। একা থাকলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজে দায়িত্ব নিয়ে বাজার করা, ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়া, জামাকাপড় কাচা, বাড়ির অন্য় কাজের মাধ্যমে অনেক কিছুই শেখা যায়। শেখার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
'হেলদি' রিলেশনশিপ রাখুন। খুব বেশি মাখোমাখো সম্পর্ক নয়, কিংবা একেবারেই কথা বন্ধ এমনটাও নয়। বরং সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলুন। নিজের কাজ, নিজের জীবনকে বেশি করে গুরুত্ব দিন। তবে যেখানে সম্মান নেই, সেই সম্পর্ক থেকে আগেই বেরিয়ে আসুন। কারণ ভালোবাসারও ঊর্ধ্বে সম্মান। নিজেকে ভালোবাসুন, দেখবেন বাকি সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে।
