সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৯ বছর পর মেগা টুর্নামেন্ট ফিরল পাকিস্তানের মাটিতে। কিন্তু পাক স্টেডিয়ামে ফিরলেন না দর্শকরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে কার্যত ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে নামল দুই দল। সেই দেখে প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক মাইকেল ভনের প্রশ্ন, পাক বোর্ড কি নিজের দেশের মানুষকে জানাতে ভুলে গিয়েছে? দেশে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলছে সেটা কি পাকিস্তানের জনতা জানে?
১৯৯৬ সালের পর এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আসর বসেছে পাকিস্তানে। তার জন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে সেদেশের একাধিক স্টেডিয়াম। ঐতিহাসিক লাহোর ফোর্টে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতকিছু করেও কি জনমানসে দাগ কাটতে পারেনি পাক বোর্ড? কেন উদ্বোধনী ম্যাচে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে করাচির স্টেডিয়াম? ম্যাচ শুরুর সময়ে যখন জাতীয় সংগীত গাইছে দুই দল, সেই সময় মাঠে সেভাবে দর্শকই দেখা যায়নি। পাকিস্তান দল মাঠে নামলেও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা একেবারেই উধাও।
পাকিস্তানে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহের এমন খামতি দেখে অবাক ভন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হচ্ছে, দেখে খুব ভালো লাগছে। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাপের টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে। কিন্তু দেশের মানুষকে কি সেই ব্যাপারটা জানাতে ভুলে গিয়েছে পাক বোর্ড? স্টেডিয়ামে ভিড় কই?" প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়কের সঙ্গে একমত নেটিজেনরাও। কেউ বলছেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই এমন দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম। হতাশাজনক।' আবার কারোও মত, অন্য দেশের স্কুলের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করলেও অনেক বেশি দর্শক হত।
ক্রিকেটপ্রেমীদের আশঙ্কা, আয়োজক দেশ পাকিস্তানের ম্যাচেই যদি এত কম দর্শক হয় তাহলে অন্য ম্যাচগুলিতে কী হবে? আর যেটুকু দর্শক হয়েছে মাঠে, তাঁরাও পাক ব্রিগেডের জন্য খুব একটা গলা ফাটাচ্ছেন না। সবমিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ক্রিকেট থেকে উৎসাহ হারাচ্ছেন পাক জনতা? সেই কারণেই কি ক্রমে ক্রমে নিচের দিকে নামছে পাক ক্রিকেটের মান?
