সুমন করাতি, হুগলি: কিছুদিন আগে বিধানসভায় 'ধর্মযুদ্ধে'র সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সোমবার বিকেলে ফুরফুরার ইফতার থেকে বিরোধীদের সেই 'কুৎসা'র জবাব দিলেন মমতা। সম্প্রীতি-ঐক্যের বার্তা দিয়ে তিনি জানান, রাজ্যের অন্যান্য সব ধর্মাবলম্বীর উৎসবে তিনি শুভেচ্ছা জানান। সেখানে যান। তেমনই সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠানেও যান। অভিনন্দন জানান। এতে প্রশ্ন তোলার কী আছে, পালটা প্রশ্ন তৃণমূল নেত্রীর।

এদিন বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ হুগলির ফুরফুরায় পৌঁছে যান মমতা। প্রায় এক দশক পর ইফতারে ফুরফুরায় এলেন তিনি। সেখানে সরকারি ইফতারে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন ফুরফুরার পীরজাদারা। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও সারেন মুখ্য়মন্ত্রী। ওই মঞ্চে ওই মঞ্চ থেকেই তাঁর বার্তা, "আমি দোল-হোলিতেও শুভেচ্ছা জানিয়েছি। দুর্গাপুজোয় যাই। রমজানেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।" একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে মমতা বলেন, কাশী বিশ্বনাথে গেলে তো প্রশ্ন তোলেন না! দুর্গাপুজোয় গেলে তো প্রশ্ন তোলেন না! বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। সম্প্রীতি-ঐক্যই আমাদের বার্তা।"
বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি বারবার সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলেন মমতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এবার বিধানসভায় কার্যত ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধী বিধায়করা। এমনকী, এদিন দিল্লি যাওয়ার আগেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভোট এসেছে তাই ওদের কথা মনে পড়েছে। ভোট চলে গেলে ভুলে যাবেন।" এমন প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা শুনে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, ফুরফুরার ইফতারের মঞ্চ থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, জাত-পাত-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। আর এ রাজ্যে ধর্ম যার-যার উৎসব সবার।