সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক (Turkey)। সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে প্রবল কম্পন অনুভূত হয় দেশের দশটি শহরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৮। কিছুক্ষণ পরেই আফটার শকে আরও একটি শক্তিশালী কম্পন (Turkey Earthquake) হয়। জোড়া ভূমিকম্পের ফলে বহু সংখ্যক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও এই সংখ্যা বাড়বে বলেই অনুমান। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া (Syria) ও ইয়েমেনেও এই কম্পনের প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটে নাগাদ প্রথম ভূমিকম্পটি হয়। নুরদাগি এলাকায় মাটি থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে এক নাগাড়ে কম্পন হয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে। মিনিট খানেক পরেই ফের কম্পন। মধ্য তুরস্কে মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ৬.৭ রিখটার স্কেলে কম্পন হয়।
[আরও পড়ুন: অব্যাহত বেজিংয়ের গুপ্তচরবৃত্তি, এবার লাতিন আমেরিকার আকাশে চিনা বেলুন]
শক্তিশালী কম্পনের পরেই প্রচুর বহুতল ভেঙে পড়ে। নেটদুনিয়ায় বাড়ি ভেঙে পড়ার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। ভোরের আলো ফুটতেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। গাজিয়ানতেপ শহরের গভর্নর জানিয়েছেন, আপাতত ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অন্তত ৩০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে। ভূমিকম্পের ভয়াবহতা দেখে উদ্ধারকারীদের অনুমান, হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।
অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়াতেও শুরু হয়েছে মৃত্যুমিছিল। ইতিমধ্যেই সেখানে ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তুরস্কের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা তুরস্ক জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্ডোয়ান জানিয়েছেন, এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত, আগেও বেশ কয়েকবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে তুরস্ক।