রাজা দাস, বালুরঘাট: সৌরশক্তি চালিত পাখাযুক্ত বিশেষ টুপি তৈরি করলেন এক মেকানিক। কৃষকদের কৃষি কাজের সুবিধায় এই টুপি অত্যন্ত উপযোগী হবে বলেই দাবি দক্ষিন দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার পতিরাম থানার বাউল এলাকার মল্লিকপুরের বাসিন্দা মেকানিক সুকুমার চক্রবর্তীর।
কৃষি প্রধান জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর। ধান, পাট এখানকার অর্থকরী ফসল। এছাড়া গম, ভূট্টা, আলু থেকে অনান্য চাষে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন এখানকার কৃষকরা। প্রখর রোদে ফাঁকা মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখা যায় কৃষকদের। তবে জমিতে চাষ করার সময় রোদ, ঝড়, জল বৃষ্টি থেকে বাচতে কৃষকদের একমাত্র ভরসা থাকে বাশের কঞ্চি আর শালপাতা দিয়ে তৈরী “মাথাল” টুপি। কিন্তু সেই ট্রাডিশনাল মাথাল টুপিতে ঝড় জলের হাত থেকে মাথা বাঁচানো গেলেও তীব্র রোদ আর গরমের হাত থেকে নিজেদের ঠান্ডা রাখতে পারেন না তারা। ফলে অল্পতেই ঘামতে ঘামতে কাজ ফেলে রেখে বাড়িমুখো হতে হয় তাদের।
[আরও পড়ুন: কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ, গোবিন্দভোগ চাষেই মজেছেন কালনার কৃষকরা]
কিন্তু সুকুমার চক্রবর্তী নামে গ্রামীন মেকানিকের তৈরি এই টুপি তাদের সেই গরমের হাত থেকে বাঁচাবে। তেমনি ঝড়-জল বৃষ্টিতে এটি কাজে আসবে। পেশায় মোটর সাইকেল মেকানিক সুকুমার চক্রবর্তী এর আগে নানা ছোটখাট গৃহস্থলির কাজের জিনিস তৈরি করেছিলেন। তবে তাক লাগানো আবিষ্কার এই প্রথম। হাল্কা অথচ শক্তপোক্ত এই সোলার চালিত পাখা সমেত টুপি তৈরি করে সুকুমারবাবু কৃষক বন্ধু হিসেবে পরিচিত হয়েছেন এলাকায়। তার এই বিশেষ পাখা চালিত টুপি দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষিজীবি মানুষ।
এই প্রসঙ্গে মেকানিক সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, “আমি নিজে গ্রামের ছেলে। ছোটবেলা থেকে লক্ষ্য করতাম মাঠে কৃষিকাজ করতে যাওয়া কৃষকদের কষ্টের বিষয়টি। রোদের কারণে চোখের দৃষ্টি দূর্বল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের চর্ম রোগে ভূগতে হয় বহু কৃষকদের। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমি সোলার পাখা চালিত বিশেষ এই টুপি তৈরি করেছি। এটি অত্যন্ত হাল্কা। মাথায় ছাওনি যুক্ত শেডের উপরে রয়েছে সোলার প্যানেল। সেটি আগে চার্চ করে নিতে হয়। রোদ ছাড়াও এটি চার্জ হবে জমির বিষ ছড়ানো যন্ত্র থেকেও। তার মাধ্যমে মাথার পেছনে থাকা ফ্যানটি চলবে। এতে মাথায় শীতলতা অনুভব করবে কৃষকরা। কাজে ক্লান্তি কম আসবে।”