চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: রাজ্যের মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে আক্রমণ। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর। হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানা এলাকার সোদপাড়া গ্রাম। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। তবে এখনও থমথমে এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে। বর্ধমানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের ৫ জনের। জখম হয়েছিলেন ৬ জন। বুধবার মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সাহা, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ অন্যান্যরা। সেখানেই গ্রামবাসীরা আক্রমণ করেন তাঁদের। গ্রামবাসীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়ি এবং সুব্রত সাহা ও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গাড়ি। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খায়। ময়দানে নামে বড়ঞা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: কেউ কথা রাখেনি! সাংসদ দেব প্রতিশ্রুতি দিলেও তৈরি হয়নি পাকাবাড়ি, গৃহহীন দাসপুরের পান্তিপিসি]
বিধায়কের দাবি এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদ (জর্জ) এবং ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি রাজ্য তৃণমূল ভবনে জানাচ্ছি। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন।” অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম জানিয়েছেন, এই ঘটনার পিছনে তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেই কারণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।