সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বলছে পাটনা৷ ধর্ষণের প্রতিবাদে ফুঁসছে নীতীশ সাম্রাজ্য৷ রাজপথ আটকে-আগুন জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন৷ নাবালিকা গণধর্ষণের প্রতিবাদে আজ, রবিবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাটনায়৷
জানা গিয়েছে, আজ সকালে ট্রেন ধরতে যাওয়ার পথে এক নাবালিকা তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ মিঠাপুর সবজি মান্ডি স্টেশনের অদূরেই ওই নাবালিকা অপহরণ করা হয়৷ অপহরণের পর স্থানীয় একটি বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে৷ অভিযোগ, সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়৷ পরে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নাবালিকাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ বর্তমানে নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে৷
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে৷ আজ, ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এদিন সকালে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয়রা৷ রাজ্য সড়ক আটকে চলে বিক্ষোভ৷ টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবস্থান৷ খোদ বিহারের রাজধানী পাটনা শহর লাগোয়া এলাকায় নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনার প্রশ্নের মুখে নীতীশ-বিজেপি জোট সরকারের ভুমিকা৷ যখন, গোটা দেশজুড়ে বিজেপি ‘বেটি বাঁচাও’ অভিযান চালিয়ে জনমনে সচেতনতার বীজ বুনতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় রাজধানীতে নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনায় বিস্মিত স্থানীয় বাসিন্দা৷
এমনিতেই আসিফা হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তাল দেশের রাজনীতি৷ কাঠুয়া-উন্নাও কাণ্ডে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসন৷ আর তারই মাঝে পাটনায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে৷ গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনের লাগোয়া এলাকা থেকে কীভাবে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল? জনবহুল এলাকায় কীভাবে নির্যাতিতাকে আটকে রাখা হল? কীভাবে এলাকা দাপাল দুষ্কৃতীরা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা৷ একই সঙ্গে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷