ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এথিক্স কমিটির ‘অনাস্থা’ সত্ত্বেও মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল (TMC)। নদিয়ার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে এলেন সাংসদ। সোমবার কিছু জেলার নেতৃত্বে বদল এনেছে ঘাসফুল শিবির। তবে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে সংগঠন সামলাতে মহুয়ার উপরই ভরসা রাখল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিপূর্বে এই পদে ছিলেন কল্লোল খাঁ।
সম্প্রতি বিজেপির হাজার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন মহুয়া। ‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন’ থেকে সাংসদ ওয়েবসাইটের লগ ইন আইডি ব্যবসায়ীকে দিয়ে রাখার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে সাংসদকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যাও দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল, সাংসদের পাশে নেই দল। নিজের লড়াই একাই লড়তে হবে মহুয়াকে। যদিও এধরনের অভিযোগে কান দিতে রাজি ছিলেন না সাংসদ। দেখা গেল, মহুয়ার পাশে দাঁড়াল দল। তাঁকেই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে আনা হল। এর পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহুয়া। লিখেছেন, দলের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত তিনি। কৃষ্ণনগরের মানুষের জন্য় সবসময় কাজ করতে চাই।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা খুনের ‘বদলা’য় জয়নগরে ‘বগটুই মডেল’, জ্বলছে সিপিএম নেতা-কর্মীর বাড়ি]
মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রথম দিকে বিভ্রান্তি ছিল। শাসকদলের ‘নীরবতা’ নিয়ে সরব হচ্ছিল বিরোধীদের একটা অংশ। এর অন্যতম কারণ ছিল এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মুখ না খোলা। অবশেষে মহুয়া ইস্যুতে নীরবতা ভাঙলেন অভিষেক। বুঝিয়ে দিলেন, কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশেই আছেন তিনি। তবে, বিজেপির তৈরি চক্রব্যুহ থেকে বেরনোর লড়াইটা তাঁর একার। আর এই লড়াইটা লড়তে হবে তাঁকেই। এদিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিল যে বিজেপি যতই ‘চক্রান্ত’ করুক দল মহুয়ার পাশেই আছে। বরং তাঁর হাতে আরও বড় দায়িত্ব তুলে দিল তৃণমূল।