সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশ্বিনের শুরু মানেই আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। বারবারই মনে হয় এই তো মা আসছেন। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ষষ্ঠীর সকালে বোধন দিয়ে শুরু হয় আচার অনুষ্ঠানের পর্ব। সপ্তমী থেকে দিন শুরু হয় পূজার্চনা। দুর্গাপুজোর আচার অনুষ্ঠান নিয়ে নানান বিধি রয়েছে। বেশি প্রশ্ন বা কৌতূহল রয়েছে গণেশের পাশে থাকা ‘কলা বউ’ বা ‘নবপত্রিকা’কে ঘিরে। অনেকে মনেই প্রশ্ন থাকে, গণেশের পাশে ঘোমটা দেওয়া ওই গাছটি আদতে কী?
[ভক্তেরা মাতোয়ারা গণপতি বাপ্পার আরাধনায়, জেনে নিন মাহাত্ম্য]
দুর্গাপুজো বাঙালির প্রধান উৎসব হলেও সারা ভারতে নানা নামে নানা সময়ে আরাধনা হয় দেবী দুর্গার। কোথাও তিনি ‘কন্যাকুমারী’ নামে পূজিত হন তো কোথাও ‘অম্বিকা’, কোথাও ‘জয়দুর্গা’ তো কোথাও ‘হিঙ্গলাজ’। এছাড়া ‘রুদ্রাণী’, ‘অম্বা’, ‘বৈষ্ণোদেবী’, ‘ভবানী’, ‘উমা’, ‘চণ্ডিকা’ নামেও দেবী দুর্গা পূজিত হন। পুরাণ মনে কৃষি প্রধান বঙ্গসমাজে শষ্যদায়িনী ধরনীমাতার আরাধনাই হল নবপত্রিকার পুজো। যাকে বাঙালির কাছে ‘কলা বউ’ পরিচিত। কথিত আছে, নবদুর্গার ন’টি রূপকে প্রাধান্য দিয়ে ন’টি বিভিন্ন গাছের অংশ নিয়ে তৈরি হয় নবপত্রিকা। এতে থাকে কলাগাছ, কালোকচু গাছ, মানকচু গাছ, হলুদ গাছ, জয়ন্তী গাছ, বেল গাছ, ডালিম গাছ, অশোক গাছ ও ধান গাছের অংশ।
[শনি ও রবিবার কৌশিকী অমাবস্যা, জানেন এর মাহাত্ম্য?]
সপ্তমীর সকালে এই নবপত্রিকার স্নান একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। গঙ্গা, পুকুর বা কোনও জলাশয়ে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। কলাবউ বা নবপত্রিকা স্নানের জন্য লাগে তেল-হলুদ, অষ্টকলস, পঞ্চরত্নের জল, পঞ্চ অমৃত, পঞ্চ শস্য, পঞ্চ গব্য, পঞ্চ কষায়, বৃষ্টির জল, ডাবের জল, শিশির, সমুদ্রের জল, তীর্থের জল, আখের রস, বরাহদন্ত মৃত্তিকা, বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা, সর্ব ঔষধি, মহা ঔষধি, চতুষ্পদ মৃত্তিকা, পদ্মরেণু, চন্দন। এই সমস্ত কিছু দিয়ে কলা বউকে স্নান করিয়ে অধিষ্ঠিত করা হয় গণেশের পাশে।
The post পুজো তো এসেই গেল, কলা বউ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন? appeared first on Sangbad Pratidin.