সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট থেকে আশি এখন প্রায় সকলেই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন স্মার্টফোন নিয়ে। তার ফলে বাড়ছে মোবাইলের আসক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ প্রত্যেকে। অনেক অভিভাবকদের মত, সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় নষ্ট হচ্ছে পড়াশোনা। অথচ সন্তানদের পড়াশোনার কথা বললেও বহুক্ষেত্রেই ঘটছে বিপত্তি। ঘটছে কচিকাঁচাদের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও। ঠিক তেমনই ঘটনার সাক্ষী তামিলনাড়ু। থিরুভাল্লুর বছর নয়েকের ‘ইনস্টা কুইন’-এর আত্মহত্যার নেপথ্যেও সামনে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বছর নয়েকের ওই শিশুটি তামিলনাড়ুর থিরুভাল্লুরে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত। প্রতিবেশীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত পরিচিত ছিল সে। ইনস্টাগ্রামে অহরহ রিলস তৈরি করে আপলোড করত খুদে। তাতে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলেই মনে করতেন শিশুর বাবা। বকাঝকাও করতেন। তবে গত সোমবার যে চরম সিদ্ধান্ত নেবে শিশু, তা ভাবতে পারেননি তার বাবা।
[আরও পড়ুন: শতরূপ ঘোষের ২২ লাখি বিলাসবহুল গাড়ি! নেটদুনিয়ায় বামপন্থীদেরই রোষানলে যুব নেতা]
গত সোমবার মামার বাড়ির সামনে খেলা করছিল শিশুটি। বাবা দেখতে পেয়ে বকাঝকা করেন। বাড়িতে গিয়ে পড়াশোনা করতে বলেন। এরপর শিশুটি বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে সেই সময় একাই ছিল সে। সন্ধে ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি ফেরেন শিশুর বাবা। দেখেন ভিতর থেকে ঘর বন্ধ। দরজা ধাক্কা দেন। তাতেও মেয়ে দরজা না খোলায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন ওই ব্যক্তি। ঘরের ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান। দেখেন ঘরের মধ্যে সিলিং থেকে ঝুলছে শিশু। গলায় সুতির তোয়ালের ফাঁস। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে তার। সন্তানকে হারিয়ে শোকে ভাসছে শিশুর পরিবারের লোকজন।