সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের (Parliament) বাদল অধিবেশন। তার আগেই ‘অসংসদীয়’ শব্দের একটি তালিকা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বলা হচ্ছে, এই শব্দগুলির প্রয়োগ সংসদ কক্ষে এবার থেকে নিষিদ্ধ। যা নিয়ে বিরোধীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। জানিয়ে দিলেন, কক্ষে নিজেদের মতামত জানানোর পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি সংসদে।
ঠিক কী জানিয়েছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”১৯৫৯ সালে থেকেই এটা হয়ে আসছে। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। সদস্যরা স্বাধীন ভাবে তাঁদের মতামত জানাতে পারবেন। এই অধিকার তাঁদের থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারে না। সংসদের ঐতিহ্যই তাই।”
[আরও পড়ুন: ‘চাকরির জন্য মায়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না’, মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের]
তাহলে এই বিতর্ক কেন শুরু হল? এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ”আগেও এমন বই প্রকাশিত হত, যেখানে অংসদীয় শব্দের তালিকা থাকত। কিন্তু এবার কাগজ বাঁচাতে আমরা সেটা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিলাম। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ হয়নি। আমরা কেবল সেই শব্দগুলিকে একত্র করেছি যেগুলি মুছে ফেলা হয়েছে।” এই ‘মুছে ফেলা’ শব্দ প্রসঙ্গে ওম বিড়লা জানাচ্ছেন, সংসদের সদস্যদের আপত্তিতেই ওই শব্দগুলি রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। এবং এই শব্দগুলি কেবল বিরোধী সাংসদরাই ব্যবহার করেছেন তা নয়। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা সরকারের প্রতিনিধিরাও ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, সংসদে ‘শব্দ’ ফতোয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বিতর্ক চরমে ওঠে। জানা যায় তালিকায় রয়েছে ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’ ‘ভণ্ডামি’, ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘খলিস্তানি’, ‘বিনাশপুরুষ’, ‘জয়চাঁদ’ , ‘তানাশাহি’, ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’, ‘দাদাগিরি’, ‘খুন সে ক্ষেতি’, ‘দোহরা চরিত্র’, ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘স্নুপগেট’ প্রভৃতি শব্দ। সাংসদদের মুখে ‘লাগাম পরানো’ নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বিরোধীদের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “এই ঘটনা একনায়কতন্ত্রের চূড়ান্ত।” অবশেষে লোকসভার স্পিকার জানিয়ে দিলেন, কোনও শব্দকেই নিষিদ্ধ করা হয়নি।