সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলে গেলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী জন গুডএনাফ (John Goodenough)। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। প্রায় চার দশক ধরে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকা জন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির গবেষণার জন্যই ২০১৯ সালে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) পেয়েছিলেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল জয়ের নজির গড়েছিলেন।
মার্কিন এই বিজ্ঞানী সম্পর্কে বলা হয়, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির (Lithium-ion battery) গবেষণায় তাঁর অবদানই কিন্তু স্মার্টফোন ও জীবাশ্মা-জ্বালানিমুক্ত সমাজের পথ তৈরি করে দিয়েছিল। ‘রিচার্জযোগ্য পৃথিবী’র সৃষ্টি করেছিলেন জন ও তাঁর সহকারীরা। ১৯৯১ সালে লিথিয়াম ব্যাটারি বাজারে আসে। আর তারপর থেকেই বদলে যেতে থাকে পৃথিবী। সেই পরিবর্তনের বিপ্লব এনে দিয়েছিলেন জনই।
[আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সিটের পাশে মলত্যাগ, ফেললেন থুতুও! গ্রেপ্তার যাত্রী]
১৯২২ সালে জন্ম তাঁর। ছিলেন কাজপাগল। ৯০ বছর বয়সেও অফিসে আসতেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী আইরিনের দাম্পত্য ৭০ বছরের। ২০১৬ সালে সঙ্গিনীর প্রয়াণ হয়। এরপর ২০১৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে নোবেলপ্রাপ্তি (Nobel prize) রসায়নে। পুরস্কারপ্রাপ্তির পরে জন (John Goodenough) জানিয়েছিলেন, ”৯৭ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকুন। আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন।” উল্লেখ্য, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি কেবল মোবাইল নয়, কম্পিউটার থেকে শুরু করে পেসমেকারেও ব্যবহৃত হয়। আর এই সংক্রান্ত গবেষণায় জন গুডএনাফের সাফল্য তাঁকে অমর করে রাখবে বলেই মত বিজ্ঞানী মহলের। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁর মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।