shono
Advertisement
Papua New Guinea

পালকে রত্নের ঝলকানি! পাপুয়া নিউ গিনিতে মিলল নতুন প্রজাতির পাখির সন্ধান

২০২৩ সালে এখানকার জঙ্গলেই খোঁজ মিলেছিল দুই প্রজাতির বিষধর পাখির।
Published By: Biswadip DeyPosted: 07:38 PM Dec 30, 2025Updated: 07:41 PM Dec 30, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাপুয়া নিউ গিনির গহীন বৃষ্টি-অরণ্য এক আশ্চর্য স্থান। এখানেই দেখা মেলে রুফাস-নেপড বেলবার্ড ও রিজেন্ট হুইসলারের মতো বিষধর পাখি অথবা কালো-মাথার পায়রার (দীর্ঘকাল আগেই যাকে বিলুপ্ত বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল)। এবার সেই পাপুয়া নিউ গিনিতে দেখা মিলল নতুন প্রজাতির জুয়েল-বাবলারের।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষীবিদ লেইন ওয়ক্সভোল্ড জানিয়েছেন, ''জুয়েল-বাবলার মূলত ভূমিতে বসবাসকারী, কীটপতঙ্গভোজী পক্ষীদের একটি দল।'' উজ্জ্বল, রত্নসদৃশ পালক এবং আকর্ষণীয় চেহারার কারণে এরা 'জুয়েল-বাবলার' নামে পরিচিত। খুবই লাজুক প্রকৃতির এই পাখিগুলি। তাই জঙ্গলের গভীরে এদের ডাক শোনা যায়। কিন্তু দেখতে পাওয়া বেশ বিরল অভিজ্ঞতা।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালে পাপুয়া নিউ গিনির জঙ্গলেই খোঁজ মিলেছিল দুই প্রজাতির বিষধর পাখির। জানা যায়, তাদের পালক ও চামড়ায় নিউরোটক্সিন থাকে। যা ব্যবহার করে তারা আক্রমণ করে শত্রুর বিরুদ্ধে। কিন্তু কোথায় তারা এই বিষ পায়? গবেষকরা জানিয়েছিলেন, যে সব বিষাক্ত পোকাদের এরা শিকার করে তাদের শরীর থেকেই নিউরোটক্সিন সংগ্রহ করে নেয়। কিন্তু শত্রুকে ঘায়েল করলেও, এই বিষে তাদের নিজেদের কোনও ক্ষতি হয় না।

ঘন অরণ্য, পর্বতমালা এবং প্রবাল প্রাচীরের জন্য পরিচিত পাপুয়া নিউ গিনি। বিশ্বের প্রায় ৫% থেকে ৭% জীববৈচিত্র পাওয়া যায় এখানে। আমাজন এবং কঙ্গো অববাহিকার পর এখানেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য অবস্থিত। এখানে বিরল ও অদ্ভুত প্রায় ৭৪০ থেকে ৮০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'বার্ডস অফ প্যারাডাইস'। তবে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র সংকটের মুখে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, চোরাশিকারের মতো নানা কারণে এই পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় সেদেশের প্রশাসন নতুন ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৫-২০৩০ তৈরির কাজ শুরু করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পাপুয়া নিউ গিনির গহীন বৃষ্টি-অরণ্য এক আশ্চর্য স্থান।
  • এখানেই দেখা মেলে রুফাস-নেপড বেলবার্ড ও রিজেন্ট হুইসলারের মতো বিষধর পাখি অথবা কালো-মাথার পায়রার।
  • এবার সেই পাপুয়া নিউ গিনিতে দেখা মিলল নতুন প্রজাতির জুয়েল-বাবলারের।
Advertisement