সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় (America) পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত ভারতীয় ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্ত চাইল ভারত। তরুণীর মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করার অভিযোগ ওঠে সিয়াটেলের এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে মজা করা সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। যার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে পুলিশকর্মীর আচরণকে ‘দুর্ভগ্যজনক’ বলল সানফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনস্যুলেট (Indian Consulate in San Francisco)। এইসঙ্গে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বছর ২৩-এর মৃত ভারতীয় ছাত্রীর নাম জাহ্নবী কান্দুলা (Jaahnavi Kandula)। ২০২১ সালে আমেরিকায় যান পড়াশোনার জন্য। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ডিগ্রি পাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই গত ২৩ জানুয়ারি পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় তরুণীর। ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কেভিন নামের এক পুলিশ কর্মী। কেভিনের গাড়িতে ধাক্কা লেগে ছাত্রীর মৃত্যু হলেও বিতর্কের কেন্দ্রে আরেক পুলিশ কর্মী ড্যনিয়েল।
[আরও পড়ুন: বৈঠকের দিনও সমন্বয় কমিটির সদস্যর নাম পাঠাল না CPM, তৃণমূলের স্পর্শ এড়াতে দ্বিমুখী অবস্থান?]
সিয়াটেল পুলিশ অফিসার্স গিল্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অডেরারকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল যে দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালক কেভিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না। পরে এই বিষয়ে ড্যানিয়েল পুলিশ গিল্ডের সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। যা তাঁর বডি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে জাহ্নবীর মৃত্যু নিয়ে ড্যানিয়েলকে ঠাট্টা করতে শোনা যায়। গিল্ড সভাপতি মাইক সোলানকে ড্যানিয়েল বলেন, “২৬ বছর বয়স (ভুল বয়স বলেন ড্যানিয়েল), খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমজনতা। শুধু একটা চেক লিখে দিলেই হবে। ১১ হাজার ডলারই যথেষ্ট।”
[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটের প্রথম জনসভা ভোপালে, সমন্বয় কমিটির বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা]
বিতর্কের ঝড়ের মধ্যে বুধবার এই বিষয়ে মুখ খোলে সানফ্রান্সিকোর ভারতীয় কনস্যুলেট। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লেখে, “আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিয়াটেল এবং ওয়াশিংটন প্রদেশের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে বিষয়টি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছি।” আরও বলা হয়, “কনস্যুলেট এবং দূতাবাস এই বিষয়ে কড়া নজর রাখবে।”
উল্লেখ্য, জাহ্নবী কান্দুলা অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বাসিন্দা। সিয়াটেলের উত্তরপূর্ব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ছিলেন তিনি। পুলিশকর্মীর আচরণ জাহ্নবীর কাকা অশোক কান্দুলা বলেন, “আমাদের কিছু বলার নেই। ওই লোকটির (অভিযুক্ত পুলিশকর্মী) মেয়ে বা নাতির কোনও মূল্য আছে কি! জীবনের মূল্য সকলের ক্ষেত্রেই কিন্তু সমান।”