সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেস্তে গেল ড্রাগনের ছক। চিনের ‘নজরদারি’ জাহাজকে নোঙর করার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। ভারতের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবরি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের কথা মাথায় রাখতে হবে আমাদের। এনিয়ে (চিনা জাহাজের গতিবিধি) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে এসেছে। এই বিষয়ে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। বন্ধুদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এটা করেছে। সেই তালিকায় ভারতও রয়েছে।” ভারত মহাসাগরে লালফৌজের গতিবিধি নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি যতটা জানি অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করার অনুমতি চেয়েছিল একটি চিনা জাহাজ। এখনও পর্যন্ত আমরা তাদের অনুমতি দিইনি।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগামী অক্টোবর মাসেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করার কথা রয়েছে শি ইয়ান ৬ নামের একটি চিনা জাহাজের। বেজিংয়ের মতে, গভীর সমুদ্রে গবেষণা চালাচ্ছে সেটি। যদিও ভারতের দাবি, চরবৃত্তিই হচ্ছে শি ইয়ান ৬-এর আসল কাজ।
[আরও পড়ুন: ‘সংগঠিত অপরাধ, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গড়’, রাষ্ট্রসংঘে কানাডাকে তোপ জয়শংকরের]
এদিকে, খলিস্তানি বিতর্কে ‘বন্ধু’ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। কানাডাকে ‘জঙ্গিদের অভয়ারণ্য’ বলে তোপ দেগেছে শ্রীলঙ্কা। গত সোমবার ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাত নিয়ে মুখ খোলেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি। নিউ ইয়র্কে সংবাদ সংস্থা এএনআইর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কানাডা। কোনও প্রমাণ ছাড়াই বিস্ফোরক অভিযোগ করা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও এভাবেই মিথ্যা অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। আমাদের দেশে নাকি গণহত্যা হয়েছে। সবাই জানে শ্রীলঙ্কায় এমন কোনও ঘটনা কখনওই ঘটেনি।” এদিন কানাডার সংসদে এক প্রাক্তন নাৎসিকে সম্মান জানানোর প্রসঙ্গ টেনেও ট্রুডোকে একহাত নেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী।