সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরসি নিয়ে যতই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করুন, বিজেপি তাতে দমে যাবে না। এনআরসি বিজেপির ঘোষিত সিদ্ধান্ত, তাই বাংলা-সহ সারা দেশে এনআরসি হবেই। মঙ্গলবার কলকাতায় এসে একথা বলে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতি জানান, বাংলায় নাগরিকপঞ্জি করার ব্যপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: টার্গেট ২০২১, সাংগঠনিক ফাঁকফোকর নিয়ে দিলীপ-মুকুলদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ]
সদ্য অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকায় বাদ গিয়েছেন প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ। কাকতালীয়ভাবে যে বিজেপি এনআরসির পক্ষে এতদিন সওয়াল করে আসছিল তারাই এখন এই তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত অখুশি। অখুশি বিরোধী কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, বিজেপির জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদ থেকে শুরু করে প্রায় সব পক্ষই। এসব সত্ত্বেও, এরাজ্যে নতুন করে এনআরসির ঝুঁকি নিতে পিছপা হতে নারাজ গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় মোদি সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইরানি। শহরে এসে মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান দেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের মূল এজেন্ডা ছিল কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং এনআরসি। নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে এনআরসি হবে। এটা বিজেপির ঘোষিত কর্মসূচি।” স্মৃতি আশ্বস্ত করেছেন, এনআরসি হলেও একজনও বৈধ ভারতের নাগরিককে দেশ ছেড়ে যেতে হবে না। তবে, অনুপ্রবেশকারীরা রেহাই পাবেন না। এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূলের বিরোধিতাকেও এদিন কাঠগড়ায় তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্মৃতির বক্তব্য, “একটা সময় ভুয়ো ভোটার কার্ড আটকাতে, সচিত্র ভোটার কার্ডের পক্ষে সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা মমতার দ্বিচারিতা।”
[আরও পড়ুন: মহম্মদ সেলিমের ছেলের বিয়ের কার্ডে লেখা ‘ইনশা আল্লা’, তোলপাড় নেটদুনিয়া]
উল্লেখ্য, এনআরসি ইস্যুতে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে এসেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শুরু থেকেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে বাঙালি-বিরোধী বলে মন্তব্য করছেন। এনআরসির প্রথম তালিকা প্রকাশের পর চূড়ান্ত বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল। এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় এরাজ্যের শাসকদল।
The post ‘বাংলায় এনআরসি হবেই’, কলকাতায় এসে জোর গলায় বলে গেলেন স্মৃতি ইরানি appeared first on Sangbad Pratidin.