সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা কাজের ধকল। মাঝখানে হয়তো কোনওমতে নাকে মুখে খাবার গুঁজে আবার কাজে লেগে পড়া। কাজের পাহাড়প্রমাণ চাপে ক্লান্তি গ্রাস করে। কিন্তু চোখের পাতা এক করলে চলবে না। ক্লান্তি কমাতে অনেক কর্মীই মনে করেন, যদি একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যেত! কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা মিলিয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। এবার কিন্তু কর্মীরা কাজের ফাঁকে অফিসেই একটু ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। টানা তিরিশ মিনিট সময় থাকবে কেবল ঘুমোনোর জন্যই। এহেন অভিনব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) একটি নতুন কোম্পানিতে। সংস্থাটির নাম ওয়েকফিট। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে কর্মীরা সতেজ হয়ে কাজ করতে পারেন। একটু ঘুমিয়ে যাতে ক্লান্তি দূর করতে পারেন।
ঠিক কী বলা হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে? সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, দুপুর দু’টো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত ‘ন্যাপ টাইম’ অর্থাৎ ঘুমনোর (Sleep) সময় থাকবে। সেই সময়ে কর্মচারীদের কাছে কোনও কাজের কথা বলা হবে না। কোম্পানির তরফে আরও জানানো হয়েছে, কর্মীরা যেন ভাল ভাবে ঘুমোতে পারেন, তার জন্য অফিসেই আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও ‘ন্যাপ পডস’-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে ঘুমনোর সময়ে বাইরের আওয়াজ কানে না ঢোকে। যাতে বিঘ্নিত না হয় ঘুম।
[আরও পড়ুন: OMG! কর্মী ধরে রাখতে জীবনসঙ্গী খুঁজে দিচ্ছে কোম্পানি! বিয়ে করলে বাড়ছে বেতনও]
ওয়েকফিটের টুইটে তুলে ধরা হয়েছে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়ার পাঠান একটি ইমেল। সেই ইমেলে বিস্তৃত ভাবে দুপুরের ঘুমের উপকারিতার কথা লেখা রয়েছে। বলা হয়েছে, দুপুরের অফিসের (Office) ফাঁকে ঘুমিয়ে নিলে কাজের উন্নতি হয়। এছাড়াও টানা কাজ করার প্রভাব পড়ে কম্পিউটার-সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির উপরে। তার ফলে এই যন্ত্রগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণের বিরতি দিলে মেশিনগুলিও ভাল থাকে। নাসা এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণা এবং সমীক্ষার পরেই এই তথ্য জানা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এই প্রস্তাব শুনে একজন লিখেছেন, “অত্যন্ত ভাল এই উদ্যোগ। এর ফলে একটি দিনকে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়, তাতে কাজের উন্নতিও হয়।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও ঘুমনো নিয়ে একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল ওয়েকফিট। একটানা ১০০ দিন রাতে নয় ঘণ্টা ঘুমনোর জন্য এক লক্ষ টাকা দিয়ে ইন্টার্নদের রাখা হয়েছিল। রামালিঙ্গেগৌড়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা চাই যেন মানুষ ভালভাবে ঘুমোন। আমাদের অত্যন্ত ব্যস্ত জীবনে ক্রমশ ঘুমের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে আমাদের কাজে।” ঘুমের উপকারিতা বোঝাতেই অফিসে ‘ন্যাপ টাইম’এর ব্যবস্থা করেছে ওয়েকফিট। সংস্থার এমন উদ্য়োগে খুশি কর্মীরাও।