সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোক না বিবাহবিচ্ছেদ। তাতে ভেঙে না পড়ে আবার নতুন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নতুন করে বাঁচতে হবে। জীবন উপভোগ করতে হবে। মেয়েকে এই উপদেশই দিলেন বাবা। শুধু তাই নয় রীতিমতো বাদ্যি বাজিয়ে সন্তানকে বাড়িয়ে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। তাঁর এই প্রগতিশীল মানসিকতাই মন ছুঁয়েছে নেটাগরিকদের।
এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। বিএসএনএল কর্মী অনিল কুমারের মেয়ে উরভি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আট বছর আগে ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন অনিল। তার পর স্বামীর সঙ্গে দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন উরভি। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর উপর অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একদিন এই অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ছোট্ট মেয়ের হাত ধরে স্বামীর ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন উরভি। ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ক্লাসরুমে সুইমিংপুল! স্কুলে এসে জলকেলিতে মাতল কচিকাচারা]
আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে পুরোপুরিভাবে দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন উরভি। যেদিন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন তাঁর বাবা সেই আট বছর আগের বিয়ের দিনের মতোই আয়োজন করেছিলেন। 'ব্যান্ড পার্টি' ডেকে মেয়েকে বাড়িতে স্বাগত জানিয়েছেন অনিল। নিজের অভিনব ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, "আমি যেভাবে সেদিন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছিলাম এদিনও ঠিক সেভাবেই মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে আসলাম। আমরা চাই ও নতুনভাবে নিজের জীবন শুরু করুক। আমি এই ভাবে সমাজ ও মানুষকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছি। বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পরে মেয়েদের উপেক্ষা করবেন না। বরং তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।"
উরভির কথায়, "আমি এই সম্পর্কটা বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আট বছর ধরে অনেক কটুক্তি, মারধরের পর এই তিক্ত সম্পর্ক শেষ হয়েছে। মা-বাবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কিছু সময় বিরতি নিয়ে আমি আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চাই।" উরভিও মা-ও চান, সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করুক মেয়ে। আগামিদিনগুলো তিনি মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে সুন্দরভাবে কাটাতে চান। মেয়ের জন্য অনিলের এই ভাবনার প্রশংসা করেছেন পাড়া-প্রতিবেশিরাও।