সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসরুমে তখন জোরকদমে চলছে পড়াশোনার পর্ব। ক্লাস নিচ্ছেন অধ্যাপক। পড়ুয়াদের পাশাপাশি ক্লাসরুমে হাজির আরও একজন। বেশ কিছুক্ষণ ক্লাস চলার পর হঠাৎ একজনের নজর পড়ল তার দিকে। আর সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল গোটা ক্লাসরুম। দেখা গেল শীত-তাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (এসি) ফাঁক দিয়ে কালো কুচকুচে একটি ছোট মুখ। লকলকে জিভ বের করে সে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে আশপাশের পরিস্থিতি। এসির ভেতর থেকে এমন বিষধর সাপকে বেরিয়ে আসতে দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় ক্লাসরুমে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা নয়ডার এক বেসরকারি হাসপাতালের। প্রায় জনা কুড়ি পড়ুয়াকে নিয়ে ক্লাস করাচ্ছিলেন অধ্যাপক। ঠিক সেই সময় এসি থেকে একটি সাপকে বেরিয়ে আসতে দেখে এক পড়ুয়া। এই দৃশ্য দেখে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে সে। সকলের নজর যায় এসির দিকে। ভয় পেয়ে যান অধ্যাপকও। এই পরিস্থিতির মাঝেই কয়েকজন ক্যামেরাবন্দি করে ঘটনাটি। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এসির ফাঁক গলে শরীরের অনেকটা অংশ বের করে এনেছে সাপটি।
দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে ক্লাসরুম থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় কয়েকজনকে। যদিও শেষ পর্যন্ত সাপটির কী পরিস্থিতি হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে কার্যত ভেসে গিয়েছে নয়ডা এই পরিস্থিতিতে আশ্রয়ের খোঁজে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়েছিল সাপটি। এর পর কোনওভাবে এসির ভেতর আশ্রয় নেয়।
নয়ডার বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ধার হওয়া সেই বিষধর সাপ।
অবশ্য নয়ডাতে এই ধরনের ঘটনা প্রথমবার নয়। কিছুদিন আগেই গ্রেটার নয়ডার গ্রামীণ এলাকায় এক বিশাল পাইথন নজরে পড়ে গ্রামবাসীদের। বনদপ্তরে খবর দেওয়া হলে বনকর্মীরা উদ্ধার করে সেটিকে।