সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইকোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও খবর মেলা মাত্র তল্লাশি শুরু করে মিরাট পুলিশ (Meerut Police)। ৫০০ বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট, নির্জন জায়গা, পোড়ো বাড়ি, ঝোপঝাড়… সবখানে চিরুনি তল্লাশির পরেও ইকোর দেখা মেলেনি। ইকো কে? কত বড় চোর-ডাকাত সে? তাকে নিয়ে এত হুজ্জতি কেন পুলিশের?
না, চোর-ডাকাত নয়, বরং একটি জার্মান শেফার্ড সারমেয়। তবে যে সে কুকুর বলা যাবে না তাকে। কারণ সে পুলিশ কমিশনার সেলভা কুমারী জে’র পোষ্য। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশ কমিশনারের পোষ্যকে খুঁজতে নাভিশ্বাস উঠছে মিরাট পুলিশের। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বেপাত্তা হয় ইকো। এরপর বাড়ির লোকজন, কমিশনারের নিরাপত্তায় মোতায়েন রক্ষীরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও হদিশ পাননি জার্মান শেফার্ডের।
[আরও পড়ুন: বারো সেকেন্ডের দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৫ ডাকাতকে ধরতে ১৬০০ জনকে হেফাজতে নিল দিল্লি পুলিশ]
এরপরই ইকোর ছবি পৌঁছে যায় পুলিশের হাতে। শুরু হয় শহরজুড়ে তল্লাশি অভিযান। ৫০০ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এলাকার রাস্তাঘাট, নির্জন জায়গা, পোড়ো বাড়ি, ঝোপঝাড়ে… সবখানে যাকে বলে হুলুস্থুলু পড়ে যায়। পুরসভার নথি খতিয়ে জানা যায় মিরাটে মোট ১৯টি জার্মান শেফার্ড রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এরপরই গত দেড় দিনে মিরাটের অন্তত ৫০০ বাড়িতে অভিযান চালান পুলিশকর্মীরা।যদি ইকোকে সেখানে আটকে রাখা হয়! খতিয়ে দেখা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।