সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) মোরবিতে মচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয়ের (Morbi Bridge Collapse) তদন্তে নয়া মোড়। তদন্তকারীরা শনিবার দাবি করেছে, ১৪৩ বছরের পুরনো সেতুটি সংস্কারে জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সংস্কারে দায়িত্ব পাওয়া ওরেভা (Oreva) সংস্থা খরচ করেছে মাত্র ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ, সেতু রক্ষণাবক্ষণ ও মেরামতিতে বিরোধীদের তোলা ‘বড় দুর্নীতি ও কাটমানি’র অভিযোগ প্রকাশ্যে এসে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত রবিবারের বিপর্যয়ে অন্তত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই দায়িত্বে থাকা সংস্থা ওরেভা সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এবার কার্যত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শতাব্দীপ্রাচীন সেতুটি মেরামতির জন্য ২ কোটি টাকা দেওয়া হলেও খরচ হয় মাত্র ৬ শতাংশ, ১২ লক্ষ টাকা। তাহলে বাকি টাকা কোথায় গেল। বাকি টাকার খোঁজে তদন্ত চলছে।
[আরও পড়ুন: দুরন্ত এক্সপ্রেসের কামরায় এসি চলেনি, যাত্রীকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের দিতে হবে রেলকে]
চলতি বছরের মার্চ মাসে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ১৫ বছরের বরাত দেওয়া হয় ওরেভা গ্রুপকে। এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা না থাকায় ওরেভা গ্রুপ দেবপ্রকাশ সলিউশনস (Devprakash Solutions) নামে অন্য এক সংস্থাকে সেতু সংস্কারের বরাত দেয়। সূত্রের খবর ওই সংস্থাও অনভিজ্ঞ। যার জেরে সেতু মেরামতির বদলে শুধু রং করে দেয় তারা।
[আরও পড়ুন: দেশের চার রাজ্যের উপনির্বাচনে সাফল্য বিজেপির, মহারাষ্ট্র বাজিমাত উদ্ধবের]
এদিকে, সেতু বিপর্যয়ের ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ বলে আদালতে দাবি করেন ওরেভা কোম্পানির ম্যানেজার দীপক পারেখ। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (Chief Judicial Magistrate) এম জে খানকে তিনি বলেন, ‘‘যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তা আসলে ভগবানের (ঈশ্বরের) ইচ্ছাতেই ঘটেছে।’’ এখনও পর্যন্ত, ওরেভা গ্রুপের দুই ম্যানেজার এবং দুই সাব-কন্ট্রাক্টরসহ নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) মামলা করা হয়েছে।