সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধাক্কা খেলেন ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ছ’ মাসের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন (Pakistan Election) করানো সম্ভব নয়। রবিবার ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি শুরু হওয়ার আগেই সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তার পরেই ইমরানের প্রস্তাব অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন আলভি। আজ মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।
তিন মাসের মধ্যে কেন সম্ভব নয় নির্বাচন? নির্বাচন কমিশনের (Pakistan Election Commission) একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, “নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে কয়েকটি নির্বাচন কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। পরবর্তী নির্বাচনের আগে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবেই।”
[আরও পড়ুন: SSC মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল হাই কোর্টের আরও এক বেঞ্চ, ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি]
নির্বাচন কমিশনের এহেন ঘোষণায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে? ইতিমধ্যেই তাঁকে সরিয়ে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি। পিটিআই-এর (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) তরফ থেকে দেশের প্রাক্তন বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য। সংবিধান লংঘন করেছেন ইমরান, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Pakistan Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই মামলার শুনানি ফের শুরু হবে আজ মঙ্গলবার। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা যায় না। এরপরে কি রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট, তার উপরেই নির্ভর করবে ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিন রকম ঘটনা ঘটতে পারে পাকিস্তানের রাজনীতিতে। প্রথমত, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী (Caretaker Prime Minister) আপাতত সরকারের প্রধান হিসাবে দেশের কাজ চালাতে পারেন। এমন ঘটনার নিদর্শন রয়েছে বাংলাদেশে। দ্বিতীয়ত, পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ইমরান খানকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল রাখতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বিরোধীরা সেই সিদ্ধান্ত মানবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। তৃতীয়ত, অশান্তির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আপাতত সেনা শাসনের অধীনে চলে যেতে পারে পাকিস্তান।