সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় যাত্রীরা। অন্য কাউন্টার খুলতে বলার পরই বচসা বাঁধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়া ডিভিশনের রিষড়া স্টেশনে। সোমবারও একইরকম তুলকালাম বাঁধে শিয়ালদহ মেন শাখার চাকদহে। কাউন্টার বন্ধ করে প্রস্রাব করার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা।
সোমবার অফিস টাইমে শিয়ালদহ মেন শাখার চাকদহ স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে যাত্রীরা দেখেন কাউন্টার বন্ধ। কাউন্টারে পোস্টার লাগানো কর্মী গিয়েছেন প্রস্রাব করতে। কর্মী কম থাকায় বন্ধ রাখা হয় কাউন্টার। অতএব নিরুপায় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় যতক্ষণ না কর্মী ফিরলেন। অনেকেই সেই ছবি ছড়িয়ে দেয় সোশাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে তুলকালাম বাঁধে।
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র তারাই, যারা…’, রাহুলের ‘হিন্দু’ মন্তব্যে ময়দানে পয়গম্বর বিতর্কে ‘বরখাস্ত’ নূপুর]
মঙ্গলবার সকালে হাওড়া ডিভিশনের রিষড়া স্টেশনে একটি কাউন্টার খোলা। ইন্টারনেট না থাকায় যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। বাধ্য হয়ে অন্য কাউন্টার খুলতে বলেন। যার জেরে অগ্নিশর্মা হয়ে যান রেল আধিকারিক। যাত্রীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। শেষমেশ 'যা করার করুন' বলে দেন বলে অভিযোগ। এমনকী আই কার্ড এগিয়ে দেন নাম, নম্বর দেওয়ার অছিলায়। এনিয়ে অশান্তি বাঁধে। পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়েনের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, "নিন্দনীয় হলেও কর্মীরা অসহায়। নিয়োগ হচ্ছে না। কর্মী না থাকায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারেন না। রেল কর্মী নিয়োগে সম্পূর্ণ উদাসীন। ফলে এই সমস্যা রয়েছে।"
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর অল্পবিস্তর টনক নড়েছে রেলের। সহকারী চালকের শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে রেল যে পরিমান শূন্যপদ রয়েছে তার জন্য যাত্রীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পদে পদে।