অর্ণব দাস, বারাকপুর: রঙিন পোশাক-আশাক। রকমারি রোদচশমা। তার উপর আবার তাঁর চাঁচাছোলা মন্তব্য। সবমিলিয়ে প্রায় সারাবছরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কামারহাটির পাঁচমাথা মোড়ে দলীয় অনুষ্ঠানে ধরা দিলেন স্বমেজাজে। বিরোধী বিজেপি, সিপিএমকে ফিল্মি কায়দায় দিলেন হুমকি।
মাসদেড়েক আগে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ছবি ‘পাঠান’। সেই সিনেমার সংলাপ মুখস্থ বেশিরভাগ অনুরাগীর। সেই ‘পাঠান’ ছবির সংলাপ উদ্ধৃত করে বিরোধী বিজেপি, সিপিএমকে হুমকি দিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, “বিজেপি ও সিপিএম জলদ সে জলদ কুরসি কা পেটি বান্ধ লো। মৌসম বদল রাহা হ্যায়। পাঠান অভি মারা নেহি। পাঠান জিন্দা হ্যায়। টাইগার ইজ ব্যাক। টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়। আমাদের গরম করবেন না, গরম করলে এমন গরম হয়ে যাব, এলাকায় থাকতে পারবেন না।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না DA জট, ‘অনশন প্রত্যাহার নয়’, জানালেন আন্দোলনকারীরা]
এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। পুলিশের মধ্যেও চর রয়েছে এই অভিযোগ তুলে মদনের হুঁশিয়ারি, “পুলিশকে বলি, আপনারা বোধহয় ভুলে যান, তৃণমূল শাসকদল। ক’দিন আগে পৌরসভার ঠিক আগে ৫০টি মাইক লাগিয়ে সিপিএম মিটিং করল। চোখে পড়ল না আপনাদের! মুখ ঘুরিয়ে উলটোদিকে হাসছেন? সব পুলিশ নয়, তবে পুলিশের মধ্যে চর রয়েছে। এইটুকু জেনে রাখুন শুধু, বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে, কী করে ঠান্ডা করতে হয় বাংলা, তৃণমূলের কাছে তার মন্ত্র রয়েছে। প্রয়োজনে তার প্রয়োগ হবে। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন, তৃণমূলের কর্মীরা জানেন কীভাবে চলতে হয়। আর আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও, ওরা কিন্তু বাবা নয়।”
মদন মিত্র বিরোধীদের বলেন, “এরা তিনটেই বদমাইশ। শয়তান। এক বিজেপি, এক কংগ্রেস, আর এক সিপিএম। মনে রাখবেন, এই তিনটেকে বান্ডিলে প্যাক করে কীভাবে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় তর্পণ করাতে হয়, নেড়া করাতে হয়, আমরা তৃণমূলরা জানি।” মদন মিত্রের একের পর এক বাক্যবাণকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না বিরোধীরা। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের সমালোচনায় সরব প্রায় সকলেই। তবে বিরোধীদের আপত্তি কান দিতেই নারাজ মদন মিত্র।