সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে জনপ্রিয় পানীয়র কোনও তালিকা তৈরি হলে, তার সর্বাগ্রে থাকবে চায়ের নাম। বাড়িতে অতিথি এলে বা বন্ধুদের জমাটি আড্ডায়- চা সর্বত্রই বেতাজ বাদশা! কারও পছন্দ চিনি ছাড়া লাল চা, কারও আবার বেশি দুধ ও চিনি সহযোগে কড়া চা। চায়ের কতই না রূপভেদ। কিন্তু বৈচিত্রপূর্ণ এই দেশে ধর্ম-বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষ একটা ব্যাপারে একমত হবেনই- চা ছাড়া দিন যে কাটে না।
ভাবছেন, চায়ের এত গুণগান কেন হঠাৎ? আজ কি চা দিবস? আরে রাখুন তো মশাই! ভ্যালেন্টাইনস ডে যেমন মোটেও প্রেমের দিবস নয়, স্রেফ বাণিজ্যিক ভাঁওতাবাজি – তেমনই চায়ের প্রতি নিখাদ ভালবাসার আবার আলাদা করে কোনও দিন লাগে নাকি? যেমন ‘মাদার্স’ বা ‘ফাদার্স ডে’। মোটেও নয়, প্রতিটি নতুন সকালই চা-দিবস। আদতে চায়ের মাহাত্ম্য বর্ণনা করার পিছনে একটি কারণ অবশ্যই রয়েছে। আর সেটি হল চায়ের গুণাগুণ সম্পর্কে এক নয়া সমীক্ষার ফলাফল। যেখানে বলা হচ্ছে, যাঁরা নিয়মিত চা পান করেন, তাঁদের বুদ্ধি, একাগ্রতা ও সৃজনশীলতা যাঁরা চা পান করেন না, তাঁদের চেয়ে বেশি হয়।
[ছেলেরা সাবধান! ত্বকের যত্ন না নিলে অকালেই পড়তে পারে বার্ধ্যকের ছাপ]
গবেষকরা বলছেন, চায়ের মধ্যে ক্যাফিন ও থিয়ানিন থাকে। এই উপাদানগুলি আমাদের সদা সতর্ক থাকতে সাহায্য করে। একাগ্রতা বাড়ায়। মানুষের মস্তিষ্কে ‘ক্রিয়েটিভ জুস’-এর প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় এক কাপ চা। এই তত্ত্ব হাতেকলমে প্রমাণ করতে ২৩ বছর বয়সী ৫০ জন যুবককে দু’টি দলে ভাগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে একদলকে শুধুমাত্র জল দেওয়া হয়, ওপর দলটিকে জল ছাড়াও নিয়মিত লিকার চা পান করতে দেওয়া হয়। আর এরপর আসে ফলাফল প্রকাশের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দুটি দলকেই নানা কাজের ভার দেওয়া হয়। তাঁদের কিছু অঙ্ক কষতে দেওয়া হয়, ইতিহাসের কয়েকটি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়। দেখা যায়, নিয়মিত চা পান করেছেন যাঁরা, তাঁদের স্কোর ৬.৫৪। আর যাঁরা চা পান করেননি, তাঁদের গড় স্কোর ৬.০৩।
তাহলে বুঝতেই পারছেন, আপনার বারবার চা চাওয়ার (বদ) অভ্যাসে গিন্নি বিরক্ত হলেও, এই প্রবণতা কিন্তু মোটেও ক্ষতিকারক নয়। তবে ঘনঘন পান করার অভ্যাস থাকলে দুধ-চিনি ছাড়া লিকার চা বা গ্রিন টি পান করুন। এতে সুস্থও থাকবেন বেশিদিন, আর আপনার বুদ্ধি-একাগ্রতাও বাড়বে!
[ফেসবুকে ভুয়ো খবর রুখতে অভিনব পদক্ষেপ জুকারবার্গের]
The post নিয়মিত চা পান করলে বাড়ে বুদ্ধি ও একাগ্রতা appeared first on Sangbad Pratidin.