shono
Advertisement

ওঠানামা করছে বাজার, ফ্লোটিং রেট-নির্ভর ঋণপত্রে লগ্নি করা ঠিক হবে?

কোন ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে হতে পারে লক্ষীলাভ?
Posted: 01:22 PM May 26, 2022Updated: 01:22 PM May 26, 2022

এখন কি ফ্লোটিং রেট-নির্ভর ঋণপত্রে লগ্নি করা ঠিক হবে? প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বিভিন্ন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে, বিশেষ করে রিজার্ভ ব্যাংকের রেট সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে। কুপন রেট নিয়ম করে যদি সত্যিই বদলে যায়, এবং নতুন পলিসির সঙ্গে সাযুজ‌্য রাখতে পারে আগামিদিনের ঋণপত্র, তাহলে কেন বিনিয়োগ করা যাবে না, এমনও আলোচনা জারি আছে। এরই ফাঁকে কিছু বিশেষ প্রোডাক্ট নিয়ে লগ্নিকারীদের মধ্যে চর্চা চালু রয়েছে- যেমন RBI Floating Rate Savings Bonds, 2020 (Taxable)। এই বিষয় নিয়ে নিজেদের বক্তব‌্য প্রকাশ করেছে Edelweiss. সংক্ষেপে এই ব‌্যাপারে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা জানিয়ে রাখছি আমরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাবধান থাকুন ভুইফোঁড় সংস্থা থেকে, বাজারে লগ্নি করতে ভরসা রাখুন বিশ্বস্ত নামে]

ব্রোকিং হাউসটির মতে ফ্লোটিং রেট অপশনটি যোগ করা আছে ন‌্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটের রেটের সঙ্গে। NSC-র রেটের উপর ৩৫ বেসিস পয়েন্ট যোগ দিয়ে লগ্নিকারীকে চূড়ান্ত রেট দেওয়া হয়। এই ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন কেবলমাত্র রেসিডেন্ট ইনডিভিজুয়ালরা। প্রতিষ্ঠানিক লগ্নিকারীদের জন‌্য নয় এটি।

কুপন রেটের হিসাবটি এইরকম–
চূড়ান্ত সুদ : (৬.৮০% + ০.৩৫%)= ৭.১৫%
এক্ষেত্রে সুদের হার ৬ মাস অন্তর রিসেট করা হয়, মানে বছরে দু’বার নির্ধারিত হয়।

কতটাকা দিয়ে কেনা যায় এই বন্ড? Edelweiss কর্তৃপক্ষ বলছেন ১,০০০ টাকা (ফেস ভ‌্যালু) এবং এই সংখ‌্যার গুণিতক (multiple) হতে পারে বিনিয়োগের পরিমাপ। তবে জেনে নেওয়া ভাল যে বন্ডের সুদ করযোগ‌্য ইনকাম ট‌্যাক্সের নিয়ম অনুযায়ী। বন্ড মেয়াদোত্তীর্ণ হয় সাত বছরে।

বিনিয়োগকারীদের খেয়াল রাখা উচিত যে, সোল ইনভেস্টর (বন্ড হোল্ডার) নমিনেশন করতে পারবেন। কিন্তু বন্ডের সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেডিং হয় না, এবং সেগুলি ট্রান্সফারেবলও হয় না। তা সত্ত্বেও যদি কেউ সামান‌্যভাবে অ‌্যালোকেশন করতে চান, তাহলে এ জাতীয় বন্ডের (তুলনামূলক) নিশ্চয়তা দেখেই করবেন। ডেট মার্কেটে ইদানীং প্রচুর পরিবর্তন আসছে, একাধিক ধরনের প্রকল্পের (ফান্ড সমেত) বৈশিষ্ট‌্য বদলে যাচ্ছে। এ সবের মূলে আছে রিজার্ভ ব্যাংকের সর্বশেষ নিয়মনীতি। খবর অনুযায়ী, এ বছরে আবার রেপো আবার বদলে যেতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে সকলেই চিন্তিত, বিশেষত গত সপ্তাহের Wholesale Price Index-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির বহর দেখে।

এপ্রিল মাসে ১৫% ছাড়িয়েছে WPI ইনফ্লেশন। পরের পলিসি ঘোষিত হবে জুন মাসে, এবং ব‌্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রক এ বারে কী করবেন তা জানার জন‌্য উদগ্রীব বাজারের প্রত্যেকেই।

[আরও পড়ুন: সুলভে মিলছে বড় ব্যাংকের স্টক, লগ্নির সুযোগ নিন এখনই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement