Advertisement
পুরুষাঙ্গের পুজো থেকে নারী-পুরুষের কাদা মাখামাখি, অবাক করা বিশ্বের ১০ উৎসব
কোন কোন দেশে পালন করা হয় এই উৎসবগুলি?
বিশ্বের প্রতিটা দেশের আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। রয়েছে আলাদা জীবনযাপন ও ঐতিহ্য। আর এসব নিয়েই সেইসব দেশে গড়ে উঠেছে তাদের নিজস্ব কিছু উৎসব। বিশ্বে এমন ১০টি দেশ রয়েছে যেখানে উদ্ভট কিছু উৎসব দেখতে পাওয়ার সুযোগ মেলে। এই উৎসবগুলির কথা শুনলে অবাক হবেন আপনিও। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী এই উৎসবগুলি!
ভারতের অগ্নি কেলি: কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর কাছে কাটেল শ্রী দুর্গাপারমেশ্বরী মন্দিরে পালিত হয় এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই উৎসবে ভক্তরা একে অপরকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। যুদ্ধ শেষে সমগ্র স্থানটি অগ্নিদগ্ধ করা হয়।
জাপানের কানামারা মাতসুরি উৎসব: জাপানের স্থানীয় লোককথা অনুসারে একসময় এক দৈত্য একজন মহিলার প্রেমে অন্ধ হয়ে ওঠে। মেয়েটির বিবাহ আসন্ন হলে দৈত্যটি তার হবু স্বামীর পুরুষাঙ্গ কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। পরবর্তীতে মহিলারা কৃত্রিম একটি লোহার পুরুষাঙ্গ তৈরি করে এটিকে পুজো করেন। এমনকী যারা এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে তাদেরকে পুরুষাঙ্গের আকারে খাবার ও ক্যান্ডিও পরিবেশন করা হয়।
ইতালির ব্যাটেল অফ অরেঞ্জস: এই উৎসবে দুটি দলে বিভক্ত অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের দিকে কমলা লেবু ছুঁড়ে মারতে থাকে। লোককথা অনুসারে প্রাচীনকালে রাজা ডিউককে বিবাহের দিন যেকোনও সদ্য বিবাহিতা নারীর সঙ্গে সহবাস করার জন্য বাধ্য করা হত। আর সেই কাহিনি অনুসরণ করেই এই উৎসবের প্রচলন।
ভারত ও মালয়েশিয়ার থাইপুসাম: এই উৎসবের উৎপত্তি দক্ষিণ ভারতে হলেও মালয়েশিয়ার বাটু গুয়ায় আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় এটি। ধর্মপ্রাণ মানুষেরা একটি বিশাল কাঠামো(কাভাদি) কাঁধে নিয়ে ১০০টি সিঁড়ি অতিক্রম করে ভগবান মুরুগানকে তুষ্ট করেন। কাভাদি বহন করার সময় কাঠামোর বাঁধন ভক্তের মুখে বাঁধা থাকে।
মঙ্গোলিয়ার নাদাম উৎসব: এই উৎসবের উৎপত্তিস্থল মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উল্লানবাতার হলেও বর্তমানে দেশের সর্বত্রই তা পালন করা হয়। বন্য ঘোড়াকে বাগে এনে অদ্ভুত সব দক্ষতা দেখানোর চল রয়েছে এই উৎসবে।
ভারতের উরস উৎসব: আজমগীরে প্রতি বছর এই উৎসব পালিত হয়। সুফী সাধক খাজা গরিব নাওয়াজ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। প্রায় ছয়দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সুফী অনুগামীরা অতিপ্রাকৃত শক্তির সাহায্যে নিজেদের চোখের কর্নিয়াটি উপরে বাইরে বের করে আনেন।
মেক্সিকোর ডে অফ দ্য ডেড: মৃত মানুষদের উদ্দেশ্যে এই উৎসব পালন করা হয়। মেক্সিকোর মানুষেরা মনে করেন তাঁদের পরিবারের মৃত মানুষেরা এই দিনে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়। এই দিনে প্রিয়জনের কবরে ফুল বিছিয়ে তাঁকে স্মরণ করা হয়। এটি এজটেক এবং ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মিলিত উৎসব।
হং-কং এর চেউঙ চাও বান উৎসব: প্রাচীনকালে একসময় হংকং-এর চেউঙ চাও গ্রামে প্লেগ দেখা দেয়। এই মহামারী থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভগবানের উদ্দেশ্যেই বান উৎসব পালন করতে দেখা যায়। স্থানীয় বিশ্বাস মতে, সর্বোচ্চ বান খাওয়া ব্যক্তি সৌভাগ্যের অধিকারী হন।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 09:13 PM Jul 18, 2025Updated: 09:27 PM Jul 18, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
