Advertisement
নিম-মিছরি থেকে সজনে পাতার পরোটা, জানুন 'ফিট' প্রধানমন্ত্রী মোদির গোপন ৫ খাদ্যাভাস
যোগাভ্যাসের পাশাপাশি মেনে চলেন বিশেষ ডায়েট।
৭৫-এও তিনি একদম ফিট। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন। শত ব্যস্ততার মাঝেও ভোরে উঠে শরীরচর্চা করেন। তাঁর মতো কর্মঠ ও একনিষ্ঠ মানুষ খুব কম দেখেছে দেশবাসী। যোগাভ্যাসের পাশাপাশি মেনে চলেন বিশেষ ডায়েট।
খাওয়াদাওয়ায় খুব একটা খুঁতখুঁতে নন। সাত্ত্বিক আহার পছন্দ করেন। জলখাবারে হালকা খাবার খান। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজের প্রাতরাশ নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সজনে পাতার পরোটা হোক বা চালে-ডালে খিচুড়ি, নিজেকে চনমনে রাখতে এই ধরনের খাবারেই বেশি আস্থা তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সুস্থ থাকার জন্য খুব বেশি কিছু দরকার নেই। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ তাঁর। মরশুমি সবজি খেতে ভালোবাসেন। এমনকী স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া খাবারেই নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন তিনি।
চৈত্র নবরাত্রিতে একটি বিশেষ প্রথা রয়েছে। এই সময় দেশজুড়ে অনেকেই নিম ও মিছরি সেবন করে থাকেন। তিনিও এই সময় নিম গাছের কচি পাতা ও ফুল দিয়ে তৈরি রস খান। গ্রীষ্মের শুরুতেই এই ধরনের ডায়েট বেশ ফলপ্রসূ হয়।
আয়ুর্বেদ মতে, গ্রীষ্মের আগে শরীরকে ঠান্ডা ও শান্ত রাখার জন্য নিম ফুল দারুণ উপকারী। এটি পিত্ত-নাশক হিসেবে কাজ করে। দক্ষিণ ভারতের বহু বাড়িতে গ্রীষ্মের শুরুতে নিম ফুল খাওয়ার চল রয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং মেটাবলিক রেগুলেশন হিসেবে কাজ করে।
নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে ঋতু পরিবর্তনের সময় নানারকম সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও অন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং কোলন পরিষ্কার রাখে।
খাঁটি মিছরি বা খাদি শক্কর (Mishri) কাশি কমাতে সাহায্য করে। সহজে ঠান্ডা লাগে না। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও মিছরি সহায়ক। রক্তাল্পতা ও অত্যধিক ক্লান্তিতে এটি কার্যকর।
শারদীয় নবরাত্রির সময় প্রধানমন্ত্রী উপোস করেন। এই সময় তিনি শুধুমাত্র গরম জল পান করে থাকেন। যদিও তিনি জানান, উষ্ণ গরম জল পান করার এই অভ্যেস তাঁর বরাবরের। এটি তাঁর নিয়মিত ডেইলি রুটিনের মধ্যেই পড়ে। এর ফলে অন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে, একই সঙ্গে ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে।
লেক ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে প্রধানমন্ত্রী 'চতুর্মাস' প্রথার ঐতিহ্য ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। এটি এমন একটি প্রথা, যেখানে তিনি প্রায় সাড়ে চার মাস (মধ্য-জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত) ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবারই খাবার খান। ঋতু অনুযায়ী এই অভ্যাস তাঁর ফিটনেসের অন্যতম গোপন চাবিকাঠি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সজনে পাতা দিয়ে তৈরি 'মোরিঙ্গা পরোটা' খুব পছন্দ করেন। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সজনে পাতার কোনও তুলনা নেই। এর মধ্যে থাকা উচ্চ ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। যকৃত পরিষ্কার করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
পিএম মোদি খিচুড়ির খুব বড় ভক্ত। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ লুক কুটিনহোর মতে, ৩০০ গ্রাম সাধারণ ডাল-খিচুড়ি থেকে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। এর সঙ্গে এক বাটি দই বা এক গ্লাস বাটারমিল্ক নিলে প্রোটিনের পরিমাণ আরও বাড়ে। ওজনের খেয়াল রেখে রাতের খাবারে খিচুড়ি খাওয়া সবচেয়ে ভালো। খাঁটি ঘি দিয়ে গরম খিচুড়ি খেলে তা হজম ক্ষমতা এবং পুষ্টির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 06:47 PM Dec 06, 2025Updated: 06:55 PM Dec 06, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
