Advertisement
সোভিয়েতের হৃতগৌরব উদ্ধারের নীল নকশা পুতিনের! পোল্যান্ড, রোমানিয়ায় রুশ ড্রোনে উদ্বিগ্ন ন্যাটো
ঘরের দুয়ারে ন্যাটোর দাপাদাপি, পালটা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি রাশিয়ার!
রুশ আগ্রাসনে ৩ বছর ধরে পুড়ছে ইউক্রেন। মার্কিন হস্তক্ষেপের পরও যুদ্ধ থামা তো দূর, বরং আক্রমণের ঝাঁজ আরও বেড়েছে। এবার কি ইউক্রেন ছাড়িয়ে রাশিয়ার নজরে ন্যাটো সদস্যভুক্ত পোল্যান্ড ও রোমানিয়া?
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডের পর এবার রোমানিয়ার আকাশে চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে রুশ ড্রোন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। সতর্ক হয়ে উঠেছে ন্যাটো সদস্যভুক্ত এই দুই দেশের সেনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি সোভিয়েতের হৃতগৌরব উদ্ধারে ইউক্রেনের পাশাপাশি পোল্যান্ড ও রোমানিয়াতেও হামলার ছক কষছে রাশিয়া?
গত বুধবার সকালে পোল্যান্ড সেনা জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সময় একাধিক ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। যদিও সেই ড্রোনগুলি নিষ্ক্রিয় করে সেনা। ড্রোনগুলি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। বায়ুসেনার বিমান যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও র্যাডারগুলিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির পর্যায়ে আনা হয়েছে।
পোল্যান্ড সেনা দেশবাসীকেও সতর্ক করে জানিয়েছে, সামরিক অভিযান চলছে। দেশবাসী যেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বের হন। দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর।
একই অবস্থা ইউক্রেনের আর এক প্রতিবেশী ন্যাটো সদস্যভুক্ত রোমানিয়াতেও। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী চিলিয়া ভেচে গ্রাম থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রোমানিয়ার আকাশসীমায় উড়তে দেখা যায় রুশ ড্রোন। সীমান্তে নজরদারি চালানোর সময় দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ড্রোনটিকে দেখতে পায়। আকাশসীমা লঙ্ঘনের কিছুক্ষণ পর সেটি ফের উধাও হয়ে যায়।
এহেন রুশ আগ্রাসনে বড়সড় কিছুর আশঙ্কা করছেন পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী রাডোসলও সিকোরসকি। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে এই রুশ ড্রোনের এই অনুপ্রবেশ অনিচ্ছাকৃত নয়। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই এই অনুপ্রবেশ।
রাশিয়ার এই পদক্ষেপে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে কূটনৈতিক মহল। ১৯৯১ সালে বিরাট সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া থেকে বেরিয়ে যায় ১৫টি দেশ। তার আগে অবশ্য পোল্যান্ড ও রোমানিয়াতে ছিল সোভিয়েত অনুগামী কমিউনিস্ট সরকার। বর্তমানে এই দেশগুলি ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মার্কিন প্রভাব বেড়েছে।
রাশিয়াকে ঘিরে ফেলতে বাল্টিক দেশগুলির উপর বটচ্ছায়া হয়ে উঠতে শুরু করেছে আমেরিকা। এককালের সোভিয়েত সদস্য লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া হয়ে উঠেছে ন্যাটো সদস্য। ঘরের দুয়ারে মার্কিন সেনার দাপাদাপি চাপ বাড়িয়েছে রাশিয়ার। ফলস্বরূপ ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়া ইউক্রেনকে 'শিক্ষা' দেওয়ার পাশাপাশি আমেরিকা ও ন্যাটোর আগ্রাসন রুখে দিতে এবং সোভিয়েতের হৃতগৌরব ফেরাতে ধীর পায়ে হলেও মাঠে নেমে পড়েছে রাশিয়া।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 04:10 PM Sep 15, 2025Updated: 04:45 PM Sep 15, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
