বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: অবশেষে বিজেপি (BJP)রাজ্য সভাপতির আবেদনে সাড়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের রাজ্য নেতৃত্ব। সপ্তাহ খানেক আগে এই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতে এবার সাড়া মিলল। সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ বাংলার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি। বাংলার সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারকেই (Sukanta Majumdar) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সমস্ত সাংসদ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
রাজ্যে আড়াআড়ি বিভক্ত গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। সুকান্ত মজুমদার বনাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোষ্ঠী। প্রথম গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল দ্বিতীয়দের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে। রাজ্যে চলতে থাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের নতুন নতুন অভিযোগ করে প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন শুভেন্দু। দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি বা ঘনিষ্ঠ নেতাকে রাজধানীতে পাঠিয়ে সংগঠনের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা সহজভাবে নিতে পারেনি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। পাল্টা কৌশল গ্রহণ করে তাই তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়েছেন। মঙ্গলবার সেই সাক্ষাৎ হতে চলেছে। দিল্লিতে সংসদের অধিবেশন চলছে এই মুহূর্তে। সেখানেই বাংলার বিজেপি সাংসদদের (BJP MP)সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের DA ইস্যুতে হস্তক্ষেপ দাবি, রাষ্ট্রপতিকে গণ ই-মেল আন্দোলনকারীদের]
সামনে পঞ্চায়েত ভোট (WB Panchayet Election) রাজ্যে। সর্বশক্তি নিয়ে ফের ঝাঁপাবে গেরুয়া ব্রিগেড। তার আগে বুথ স্তরে সংগঠন কতটা শক্তিশালী করতে পারলেন বঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা, সেই খবর নিতে চান মোদি। রাজ্যে দলীয় কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সাংসদদের সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন। মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের অভিভাবকের মতো। তাঁর পরামর্শ সংগঠনের কাছে নির্দেশ। এবারও তিনি যা নির্দেশ দেবেন, তা পালন করবেন।