সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry) প্রাণহানির পরে কেটে গিয়েছে দু’মাস। অবশেষে দুর্ঘটনার সময় গাড়ির চালক যিনি ছিলেন, সেই বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অনাহিতা পাণ্ডোলের বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা।
সাইরাসের মৃত্যুর পরেই পুলিশের হাতে এসেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনার সময় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলেছিল মার্সিডিজ গাড়িটি। মাত্র ৯ মিনিটে ২০ কিলোমিটার রাস্তা পেরনোর পর দুর্ঘটনা ঘটে। ওই গাড়িতে চড়ে গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বইতে (Mumbai) ফিরছিলেন তাঁরা। সাইরাস ছাড়াও গাড়িতে ছিলেন তাঁর বন্ধু দারিয়াস পাণ্ডোলে এবং স্ত্রী অনাহিতা। এছাড়া ছিলেন অনাহিতার ভাই জাহাঙ্গির। দারিয়াস ঘরনি বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনাহিতাই চালাচ্ছিলেন গাড়িটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, অতিরিক্ত গতির জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এবার অনাহিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মজে স্বামী, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’]
গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ মুম্বই থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে পালঘরের চারোটি এলাকায় নদীর সেতুর উপরে থাকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সাইরাসদের গাড়ি। সাইরাস এবং জাহাঙ্গির পাণ্ডোলে গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন। তাঁরা দু’জনেই সিট বেল্ট পরেননি। তাঁদের মৃত্যু হলেও প্রাণে বেঁচে যান দারিয়াস ও অনাহিতা। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই মারাত্মক ভাবে জখম হন। শনিবার পুলিশের তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, তদন্তের যে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে পরিষ্কার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দায়িত্বজ্ঞানহীন বেপরোয়া ভঙ্গিতে গাড়ি চালানোর জন্যই।
প্রসঙ্গত, টাটার ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন সাপুরজি-পালনজি পরিবারের সদস্য সাইরাস মিস্ত্রি। তিনি ছিলেন সংস্থার দ্বিতীয় চেয়ারম্যান যাঁর পদবি টাটা ছিল না। ২০১৬ সালে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্স। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি ছিলেন না সাইরাস। সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এনসিএলএটির দ্বারস্থ হয় সাইরাস মিস্ত্রির সংস্থা সাইরাস ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টারলিং ইনভেস্টমেন্টস কর্পোরেশন। এই সংঘাত সাড়া ফেলেছিল দেশে।