অর্ণব দাস, বারাকপুর: এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এক খুনের কিনারা করতে গিয়ে আরেকটি হত্যাকাণ্ডের (Murder) যোগ পেল পুলিশ। পানিহাটিতে (Panihati) যুবক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল খড়দহ থানার পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, একজনকেই নয়, কয়েকদিনের ব্যবধানে দু’জনকে খুন করেছে সে। পুলিশের জেরায় অকপটে এসব কথা স্বীকারও করেছে ধৃত ব্যক্তি। পানিহাটির যুবক শিবনাথ দাসকে একা গঙ্গার পাড়ে দেখতে পেয়ে হত্যার ছক করে, এবং মাথার পিছনে আঘাত করে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ধৃতকে আজ বারাকপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে পানিহাটি গিরিবালা ঠাকুরবাড়ির গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির শিবনাথ দাস। বছর চল্লিশের শিবনাথ তিনি পানিহাটির শ্মশানঘাট সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিপ্লব দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জোড়া খুনের হদিশ পায়। জানতে পারে, গত ১৯ ডিসেম্বর একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির নাম শেখর পাল। তাকেও শিবনাথের মতো মাথার পিছনে আঘাত করে খুন করেন বিপ্লব।
[আরও পডুন: কুলতলির ত্রাস রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কোথায়? অবস্থান জেনে খাঁচাবন্দি করার অপেক্ষায় বনকর্মীরা]
আরও জানা গিয়েছে, শিবনাথের সঙ্গে মদ্যপানের আসরে বিপ্লবের বচসা বেঁধেছিল। এরপর শিবনাথ একা গঙ্গার ঘাটে চলে যায়। সেখানে তাঁকে একা দেখেই খুনের পরিকল্পনা করে বিপ্লব। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। মাথা থেঁতলে খুন করা হয় তাঁকে। গ্রেপ্তারির পর পুলিশি জেরায় বিপ্লব সব কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তার মানসিক স্থিতি সম্পর্কে সংশয়প্রকাশ করছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, মানসিক অস্থিরতা থেকেই পরপর দু’জনকে খুন করেছে বিপ্লব। আজ তাকে পেশ করা হচ্ছে বারাকপুর আদালতে। তদন্তের স্বার্থে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে এক হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে গিয়ে আরেকটি খুনের ঘটনা জানতে পেরে তাজ্জব দুঁদে তদন্তকারীরা।