সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর শুরুতেই দেশের টেলিকম শিল্পে নতুন দিগন্ত খুলে গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয়ে গেল ফাইভ জি পরিষেবার। শনিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে 5G পরিষেবার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি-সহ (Mukesh Ambani) দেশের প্রধান তিন টেলিকম সংস্থার আধিকারিকরা।
আজ থেকেই দিল্লির প্রগতি ময়দানে শুরু হচ্ছে ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস’। ৩ দিন চলবে এই বিশেষ কর্মশালা। এদিন সেই অনুষ্ঠানেই অত্যাধুনিক এই মোবাইল পরিষেবার সূচনা হয়। এর ফলে দেশের টেলিকম শিল্পে নতুন দিগন্ত খুলে গেল বলে দাবি টেলিকম বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্রের দাবি, আপাতত দেশের ১০টি প্রথম সারির শহরে এই পরিষেবা চালু হবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, গুরুগ্রাম, পুণে, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাইয়ের মতো শহরে আপাতত এই পরিষেবা চালু হবে। সেখান থেকে গোটা দেশে আগামী দু’বছরের মধ্যে এই পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বিপক্ষে ‘হাইকম্যান্ডের প্রার্থী’, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে কেন পিছিয়ে শশী থারুর?]
উল্লেখ্য, 5G স্পেকট্রাম নিলাম শেষ হয়েছিল আগস্টে। মোট ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্ৎজের স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হয়েছিল। ৪০ রাউন্ড নিলামের পর স্পেকট্রাম বন্টনের প্রক্রিয়াটি শেষ হয়। মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো তখনই জানিয়ে দেন, চলতি বছরের অক্টোবরেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যেতে পারে ৫জি পরিষেবা। অবশেষে সেই সম্ভাবনাই সত্যি হতে চলেছে। অশ্বিনীর দাবি, 5G পরিষেবা চালু হলে ভারতের টেলিকম দুনিয়ার ভোলবদলে যাবে। দেশবাসীর কাজকর্ম অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফাইভ-জি প্রযুক্তি ভারতের অর্থনীতির পক্ষে লাভজনক হতে চলেছে। ২০২৩ থেকে ২০৪০-এর মধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে শুধুমাত্র ফাইভ-জি প্রযুক্তি বাবদ প্রায় ৫০ কোটি ডলার অতিরিক্ত আসবে।
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম’ আজারবাইজানের হামলা রুখতে ‘খ্রিস্টান’ আর্মেনিয়াকে ‘পিনাক’ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত]
৫জি এলে গ্রাহকদের পরিষেবায় কতটা পরিবর্তন আসবে? মনে করা হচ্ছে, ডেটা ডাউনলোডের গতি বাড়বে ১০ গুণ! স্পেকট্রাম এফিশিয়েন্সি হবে ৩ গুণ বেশি। অনেক দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার, ডাউনলোড এবং আপলোড করা যাবে। যা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত। কিন্তু সেজন্য গাঁট থেকে খসবে মোটা অঙ্কের টাকা।