সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) ইস্যুতে অবশেষে সুর নরম করলেন রুশ (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনকে ঘিরে সম্মুখ সমরে আমেরিকা-রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মজুত করে NATO গোষ্ঠীর দেশগুলির বিষনজরে পড়েও লাগাতার আক্রমণাত্মক মেজাজেই দেখা গিয়েছে পুতিনকে। কিন্তু অবশেষে তাঁর গলায় সমঝোতার সুর। ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব বিবেচনা করতে তাঁরা রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পাশাপাশি এই সমস্যার জন্য পশ্চিমি দেশগুলিকেই কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গিয়েছে পুতিনকে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ক্রেমলিনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দীর্ঘ বৈঠক করেন পুতিন। বৈঠক শেষে পুতিন জানিয়েছেন, তাঁরা সমঝোতায় রাজি। ম্যাক্রোঁ তার সামনে যে প্রস্তাব রেখেছেন সেদিকে নজর রাখবেন তিনি। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও সামনাসামনি বৈঠক হয়নি। অবশেষে তা সম্ভব করলেন ম্যাক্রোঁ। যার ফলে ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের সোনালি রেখা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ক্লিনিকে লম্বা লাইন নয়, পাড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ পাবেন কলকাতাবাসী]
এদিন বৈঠকশেষে ফরাসি রাষ্ট্রনেতাকে মস্কোয় আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পুতিন বলেন, ”তাঁর দেওয়া প্রস্তাবগুলি মানা যেতে পারে আগামী পদক্ষেপগুলি বিবেচনা করে। সকলের যাতে সুবিধা হয়, তেমন কোনও সমঝোতার জন্য আমরা রাজি।” তবে ফ্রান্স তাঁদের কাছে কী শর্ত রেখেছে সে নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।
গত কয়েক বছরে ইউক্রেনের সেনা ও রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি না শুধরোলে আগামী দিনে রক্তক্ষয় আরও বাড়াই হয়তো নিয়তি। আর যুদ্ধ একবার প্রত্যক্ষভাবে শুরু হয়ে গেলে যে আরও কত ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি হবে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি এই যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বেই। সেই কারণেই যে কোনও ভাবে এই যুদ্ধ আটকাতে তৎপর ওয়াকিবহাল মহল।
এতদিন উভয়পক্ষই আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলছিল। অবশেষে পুতিনের গলায় নরম সুর পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলির প্রতি তাঁর তোপকে কেন্দ্র করে সংশয়ও থাকছে। ঠিক কী অবস্থান নেয় রাশিয়া, তা জানতে তাই আপাতত অপেক্ষা করাই শ্রেয় বলে মনে করা হচ্ছে।