shono
Advertisement

Rampurhat Incident: ‘নাটের গুরু আনারুল’, বগটুইয়ের ঘটনায় কেন এই তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করলেন মমতা?

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আনারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Posted: 03:16 PM Mar 24, 2022Updated: 08:44 PM Mar 24, 2022

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে রাতের অন্ধকারে ৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় ‘নাটের গুরু’ আনারুল হোসেন। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে দাড়িয়ে ঠিক এই কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ পেয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনারুলকে। তারাপীঠ থানায় তাঁকে পেশ করা হয়েছে। কিন্তু কে এই আনারুল? কেনই বা তাঁকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। 

Advertisement

রামপুরহাট ১ নং ব্লকের তৃণমূল প্রেসিডেন্ট আনারুল হোসেন

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এদিন দুপুরেই রামপুরহাটের রামরামপুরে আনারুল হোসেনের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। নেতৃত্বে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ASP) দীপক সরকার। তাঁর বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালান পুলিশকর্মীরা। বাড়ির মহিলারা জানান, আনারুল বাড়িতে নেই। তবে পুলিশের অনুমান, তিনি বাড়ির মধ্যেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যেখান থেকেই হোক, তাকে হাতকড়া পরিয়ে জেলে ঢোকাতেই হবে। তাই তাঁর গ্রেপ্তারিতে অতি সক্রিয় পুলিশ। তাঁর বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। বাড়িতে না পেলেও তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রামরামপুরে আনারুল হোসেনের বাড়ি।

 

[আরও পড়ুন: অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে স্তম্ভিত সহকর্মীরা, শোকপ্রকাশ শতাব্দী-লাবণী-দেব-অঙ্কুশদের]

কিন্তু কেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পা রেখেই দলের স্থানীয় নেতা আনারুলের নাম উল্লেখ করলেন? রামপুরহাট ১ নং ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল। সোমবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনওক্রমে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দা মিহিলাল শেখ অভিযোগ করেছেন, আনারুলের নেতৃত্বেই সেই রাতে গ্রামে হামলা চলেছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কান্নাভেজা গলায় সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফের এই নাম উল্লেখ করেছিলেন মিহিলাল। তাতেই কার্যত সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”আনারুল গ্রেপ্তার হবে।” তারপরই তাঁর বদলে রামপুরহাট ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের বাংলা বোর্ড ভুলে ভরা, চালুর আগে বিতর্ক]

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর অবশ্য আনারুল সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, তিনি ওইদিন হাসপাতালে ছিলেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানাক, তিনি কোথায় ছিলেন। এ নিয়ে তিনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চান। এদিকে, আনারুলের বাড়ি ঘিরে তাঁকে গ্রেপ্তারির তোড়জোড় করতেই তাঁর অনুগামীরা বাড়ির সামনে চলে আসেন। তাঁদের দাবি, আনারুলকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। একা তিনি নন, গ্রেপ্তার করতে হলে তাঁদেরও করতে হবে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার