সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। বিশ্লেষকদের মতে, মেঘের আড়াল থেকে রুশ ফৌজকে নাস্তানাবুদ করছে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট। এই প্রেক্ষাপটে ক্রাইমিয়ার আকাশে মার্কিন ড্রোন বনাম রুশ যুদ্ধবিমানের বেনজির সংঘাত হয়েছে বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার ক্রাইমিয়াক আকাশে দু’টি মার্কিন ড্রোন হানা দেয় বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরের কাছে রাশিয়ার আকাশসীমায় নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার একটি ‘প্রিডেটর’ ও ‘গ্লোবাল হক’ ড্রোন। রুশ যুদ্ধবিমান ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, মেঘের আড়াল থেকে রুশ ফৌজকে নাস্তানাবুদ করছে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট। ফলে মার্কিন ড্রোনের ব্যবহার আরও বাড়াবে জেলেনস্কি বাহিনী। এর ফলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সরাসরি সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় মৃত পুতিনের ‘পথের কাঁটা’ প্রিগোজিন, অবশেষে ঘোষণা রাশিয়ার]
কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ড্রোন হানা চালায় কিয়েভ। উল্লেখ্য, যে কোনও দেশের রাজধানীকেই সেদেশের হৃদয় বলা যেতে পারে। ফলে মস্কোর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ার অর্থই হচ্ছে রুশ সেনার জন্য বড় ধাক্কা। এর আগেও মস্কোয় ড্রোন হানার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, যুদ্ধের ডকট্রিন, ‘টেক দ্য ওয়ার টু ইয়োর এনিমি’- মেনেই এবার রাশিয়ার বুকে হানা দিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। এক্ষেত্রে, সামরিক সাফল্যের চাইতেও এর প্রতীকী মূল্য অনেক বেশি। রাশিয়া যে অপরাজেয় নয়, সেই বার্তাই দিতে চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ সেনা। সেই থেকে শুরু হয়েছে যুদ্ধ। দেড় বছর পরেও অব্যাহত হয়েছে লড়াই। সম্প্রতি ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও পালটা হামলা করার অভিযোগ জানিয়েছে রাশিয়া। এর আগে ক্রেমলিন ও রাশিয়ার অন্যান্য শহর, যেগুলি ইউক্রেনের (Ukraine) সীমান্তবর্তী, সেখানে কিয়েভ ড্রোন হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।