সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরও দেশের প্রতিনিধিত্বকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। একবুক যন্ত্রণা নিয়েই নেমেছিলেন বাইশ গজে। বাবার আশীর্বাদে কেনিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তাই শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar) বোঝেন স্বজন হারানোর পর ব্যাট হাতে নামার জন্য বুকে কতখানি বল প্রয়োজন। সেই কারণেই টুইট করে নীতিশ রানা ও মনদীপ সিংয়ের প্রশংসা না করে থাকতে পারলেন না তিনি।
কেকেআরের (KKR) জার্সি গায়ে শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেন রানা। ওপেন করতে নেমে ৫৩ বলে ৮১ রান করেন তিনি। হাঁকান ১৩টি চার ও একটি ছক্কা। কার্যত একাহাতেই দলকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন নাইট ওপেনার। সেই সঙ্গে দলকে মূল্যবান ২টি পয়েন্ট এনে দিতেও সাহায্য করেন। তাঁর চোখ ধাঁধানো ইনিংস দেখে কেউ টেরও পাননি শ্বশুরমশাইয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তিনি ম্যাচে নেমেছিলেন। মারণ ক্যানসারে প্রাণ হারান রানার শ্বশুরমশাই। অনেকটা একই অবস্থা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মনদীপের। শুক্রবারই তিনি হারিয়েছেন বাবাকে। পিতৃবিয়োগের চাপা কষ্ট নিয়েই খেলেন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। দিনের শেষে স্বস্তি যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জেতে পাঞ্জাব। আর সেই সঙ্গে প্লে-অফে ওঠার আশা জিইয়ে রাখে প্রীতি জিন্টার দল।
[আরও পড়ুন: দর্শকশূন্য ন্যু ক্যাম্পে মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় দুরন্ত জয় রিয়ালের]
জীবনের এমন কঠিন সময়ে দুই ক্রিকেটারের মনোবলকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি লেখেন, “নিজের মানুষকে হারানো ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু সেই মানুষটিকে যখন আর শেষবারের মতোও দেখা হয় না, তার কষ্ট আরও বেশি। মনদীপ ও রানা এবং ওদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি, যাতে এই সময়টা ওরা কাটিয়ে উঠতে পারেন। ওদের পারফরম্যান্সকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। খুব ভাল খেলেছে।”
শনিবার নিজের হাফ সেঞ্চুরি শ্বশুরমশাইকে উৎসব করেন নীতিশ রানা। ৫০ রান করার পরই সুরিন্দর লেখা জার্সিটি তুলে ধরেন তিনি। অন্যদিকে, মনদীপের বাবার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে গোটা পাঞ্জাব দল নেমেছিল কালো আর্ম ব্যান্ড পরে।