সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেনার দায়ে ধুঁকছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সমস্যা সমাধান করতে ইমরান খানের শরণাপন্ন হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। সন্ত্রাসবাদ, দুর্বল অর্থনীতি-সহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। সংকট থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে সর্বদল বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহবাজ। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকেও (পিটিআই) এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
দেশের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ। একাধিক সমস্যার সমাধান করতে সকল দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছে সরকার। সেখানেই ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এই বৈঠকে ইমরান উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ইমরান (Imran Khan)। তারপরেই বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ওড়ার পরেই আগুন, আবু ধাবি-কালিকটগামী বিমানের জরুরি অবতরণ]
একই বিষয়ে অ্যাপেক্স কমিটিরও একটি বৈঠক ডেকেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই বৈঠকেও পিটিআই থেকে দু’জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবারে পাকিস্তানে গিয়ে ঋণ সংক্রান্ত আলোচনায় বসেছিলেন আইএমএফ আধিকারিকরা। একাধিক কঠিন শর্তের বিনিময়ে এই ঋণ নিতে চলেছে পাকিস্তান। এই শর্তের ফলে বিপুল খরচের বোঝা চাপবে আমজনতার উপর। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেই অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কারণ ঋণ দেওয়ার আগে সর্বদলের সম্মতি দাবি করেছে আইএমএফ।
নানা দেশ ও সংস্থা থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রায় মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে পাক অর্থনীতি। মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় জেরবার আমজনতার বোঝা আরও বাড়িয়ে নয়া কর চাপাতে চলেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাক সংবাদপত্র ডনের তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দু’টি অর্ডিন্যান্সের খসড়া তৈরি করেছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন। মূলত ব্যবসার উপরেই ১০ হাজার কোটি টাকার কর বসানো হতে পারে। এছাড়াও বন্যা ত্রাণের জন্য বরাদ্দ তহবিলেও কর বসানো হবে। সূত্রের খবর, কাঁচামাল রপ্তানির উপরে বড় মাপের কর ধার্য করবে নয়া অর্ডিন্যান্স। এছাড়াও বিদ্যুৎ খরচের ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে।