সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরো কাপে (Euro Cup) ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্য়াচের বয়স তখন ৪০ মিনিট। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবুজ ঘাসে লুটিয়ে পড়েন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন (Christian Eriksen)। তাঁর সতীর্থদের চোখে মুখে তখন আতঙ্ক। গ্যালারিতে উপস্থিত ডেনমার্ক সমর্থকরাও বিস্মিত। এরিকসেনকে মাঠে লুটিয়ে পড়তে দেখে ছুটে আসেন তাঁর সতীর্থরা। খেলা বন্ধ করে দেন রেফারি। মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা মাঠেই শুরু করে দেন চেস্ট পাম্প। মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় শ্বাসকার্য চালানো হয়। স্ট্রেচারে করে এরিকসেনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসাপাতালে। ইউরো কাপ চলাকালীন সবার শ্বাস প্রশ্বাসে কেবল এরিকসেন আর এরিকসেন।
ডেনমার্কের সেই এরিকসেন আবার খবরের শিরোনামে। আবার তাঁকে দেখা যাবে ফুটবল মাঠে। সেই দুর্ঘটনার পর শোনা গিয়েছিল ফুটবল মাঠে আর কখনও ফিরবেন না তিনি। এবার খবর, ব্রেন্টফোর্ডে (Brentford FC)) সই করেছেন তিনি। ক্লাবটির সঙ্গে ৬ মাসের চুক্তি করেছেন এই ড্যানিশ মিডফিল্ডার।
[আরও পড়ুন: চার বলে চার উইকেট! ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে অনন্য নজির হোল্ডারের]
হার না মানা মনোভাবের জন্য বিখ্যাত এরিকসেন। খেলার মাঠেও শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে যেতেন। এখনও সেই লড়াকু এরিকসেনকেই দেখা গেল। তিনি মাঠে ফিরলে যে কোনও সমস্যা হবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই মতোই ক্লাবের সন্ধানে ছিলেন এরিকসেন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য আয়াক্সে শুরু করেছিলেন অনুশীলন। এর মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে তিনি ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দিতে পারেন। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে সই করে দিলেন এরিকসেন।
ব্রেন্টফোর্ডের কোচ থমাস ফ্রাঙ্ক ড্যানিশ মিডফিল্ডারের পরিচিত। ডেনমার্কের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে খেলার সময়ে এরিকসেনের কোচ ছিলেন থমাস। চেনা, পরিচিত ছাত্রই আবার ফিরে আসছেন গুরুর কাছে। ব্রেন্টফোর্ডের কোচ থমাস বলেছেন, ”এরিকসেনের সঙ্গে আবার কাজ করব। সেই দিকেই তাকিয়ে আমি। এরিকসেন যখন আমার অধীনে খেলত, তখন ওর বয়স ছিল ১৬। প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম সেরা মাঝমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিল। ইউরোপের বিভিন্ন ট্রফি জিতেছে। ডেনমার্ক জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার এরিকসেন।”
অভিশপ্ত ইউরো কাপ এখন অতীত। অন্ধকারের সেই সব দিনগুলোকে পিছনে ফেলে অনেক দূরে চলে এসেছেন এরিকসেন। সই করে দিয়েছেন ব্রেন্টফোর্ডে। নতুন করে আবার শুরু হতে চলেছে গুরু ও শিষ্যের যুগলবন্দি।