বেঙ্গালুরু এফ সি: ২ (সুনীল-পেনাল্টি, জাভি)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (মহেশ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএল (ISL) মরশুমের শুরুতেই হোঁচট ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। মরশুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচেই হারল লাল হলুদ ব্রিগেড। এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া করলেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছাত্ররা। বেঙ্গালুরু এফসির সুনীল ছেত্রীকে অযথা ট্যাকল করে সহজ পেনাল্টি উপহার দিল ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি ক্লেইটন সিলভারা। তিন ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC) চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন কুয়াদ্রাত। পুরনো দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে অবশ্য কোচ নিজেই জানিয়েছিলেন, কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে আগের ম্যাচে শেষ মুহুর্তে জয় পেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মহেশ সিংরাও। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখানোর চেষ্টা চোখে পড়ছিল নন্দকুমারদের খেলায়। তবে শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের খেলা থেকে সেই ঝাঁজ হারিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: তিন মহাদেশের ৬ দেশে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ, বড় ঘোষণা ফিফার]
ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর কাছেই। সুনীল ছেত্রীর শট কোনওমতে আটকে দেন লালচুংনুঙ্গা। তবে এরপরেই পালটা আক্রমণ শুরু করে লাল হলুদ ব্রিগেড। ১৫ মিনিটের মাথায় নন্দর দুরন্ত পাস থেকে গোলের জালে বল জড়িয়ে দেন মহেশ। ১-০ ফলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট চারেকের মাথায় বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সুনীল ছেত্রীকে আটকাতে গিয়ে অযথা আক্রমণ করেন মন্দার। সেই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন ভারতীয় অধিনায়ক। ১-১ ফলে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।
হাফটাইমের পর দুই দলই গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ক্লেটনের ফ্রিকিক থেকে নন্দ গোল করলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। আরও বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে এলেও শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, ৭২ মিনিটের মাথায় সুনীলের হেড থেকে দুরন্ত বাইসাইকেল কিক মারেন জাভি হার্নান্ডেজ। সেখানেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। পিছিয়ে পড়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। যদিও রেফারিং নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছে ইস্টবেঙ্গল। সুনীলের পেনাল্টি আদৌ বৈধ ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে লাল হলুদ শিবিরে।