স্টাফ রিপোর্টার: ঘুড়ে দাঁড়ানোর লড়াই। শনিবার ঘরের মাঠে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ড্রেসিংরুমের রিংটোন এটাই। গত কয়েকটি ম্যাচে প্রথমে ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছেন ক্লেটন সিলভারা। সেই ভুলত্রুটি শুধরে শনিবার ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে জয় তুলে এনে লিগ টেবিলের উপরে উঠে আসা প্রধান লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat)।
শনিবার আবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রথম একাদশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার পাচ্ছেন না কেরালা কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। কেরালার বাঙালি ফুটবলার প্রবীর দাস (Prabir Das) সাসপেন্ড। চোটের তালিকায় মার্কো লেসকোভিচ, আইবাংবা ঢোলিং, জিকসন সিং, জসুয়া সোত্রিওরা। যদিও বিপক্ষে কারা আছে আর কারা নেই তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ কার্লেস। তিনি বলেন, “কে আছে কে নেই তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। শেষ ম্যাচ দেখেছি, ওরা ভালো দল।”
[আরও পড়ুন: আঁচ ভারতেও! হামাস-ইজরায়েল সংঘাতে সুনাকের সঙ্গে আলোচনা ‘উদ্বিগ্ন’ মোদির]
এমনিতে ভুবনেশ্বরে এফসি গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে নাওরেম মহেশ সিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও অতীত নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। পরপর গোল হজম করলেও দলের রক্ষণ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন তিনি। অনুশীলন ম্যাচে চোট পাওয়া নন্দকুমারও ফিট হয়ে উঠেছেন। এমনকী সাম্প্রতিক সময়ে দুটি অনুশীলন ম্যাচে তিনি দেখে নিয়েছেন দলের সঙ্গে সদ্য যোগ দেওয়া নতুন বিদেশী হিজাজি মাহেরকে। নতুন বিদেশীর পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, “গত দুটো অনুশীলন ম্যাচে আমি মাহেরকে দেখেছি। ওর খেলায় খুশি। ওকে শীঘ্রই মাঠে দেখতে পাবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘পাশে আছে ভারত’, ‘প্রচণ্ড’ চিনপন্থী নেপালকে আশ্বাস মোদির]
অন্যদিকে, ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল সবসময় ভয়ংকর প্রতিপক্ষ বলে মনে করেন ভুকোমানোভিচ। প্রশংসা করেন কুয়াদ্রাতেরও। শনিবারের ম্যাচ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “প্রত্যেক ম্যাচই কঠিন আমাদের কাছে, সেটা হোম হোক বা অ্যাওয়ে। দলে প্রীতম কোটালের মত বাংলায় খেলা ফুটবলার আছে। ওদের থেকে এই ম্যাচ নিয়ে পরামর্শ পাব।”
আজ আইএসএলে
ইস্টবেঙ্গল বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, রাত ৮.০০
স্পোর্টস ১৮ নেটওয়ার্ক