এটিকে মোহনবাগান: ৩ (রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো)
এসসি ইস্টবেঙ্গল: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শতবর্ষের ডার্বিতে ছিন্নভিন্ন এসসি ইস্টবেঙ্গল। অ্যান্তনীয় লোপেজ হাবাসের আগ্রাসী এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) সামনে কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। ঐতিহাসিক ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেললেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। এই বিরাট জয়ের ফলে ফের লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এল সবুজ-মেরুন শিবির।
নিজেরা ‘আন্ডারডগ’। ম্যাচের আগে একেবারেই মানতে চাননি এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কোচ ম্যানুয়েল মানোলো দিয়াজ। তিনি বরং পালটা হুঙ্কারই দিচ্ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে তিনি যতটা আস্ফালন দেখালেন, খেলার মাঠে তাঁর দল ঠিক ততটাই খারাপ খেলল। ঐতিহাসিক ডার্বিতে নিখুঁত টিমগেমেই বাজিমাত করলেন হাবাস।
[আরও পড়ুন: India vs New Zealand: চোটের গেরো, ঋদ্ধিমানের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কি শেষের পথে?]
এদিন ম্যাচের একেবারে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে নামেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। জনি কাউকো, হুগো বুমোস, মনবীর সিং, রয় কৃষ্ণ, লিস্টন কোলাসো, প্রীতম কোটালরা যখন একযোগে আক্রমণে যাচ্ছিলেন, তখন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ যেন থরহরি কম্পমান হয়ে যাচ্ছিল। সেই নড়বড়ে রক্ষণের সুযোগ নিয়েই ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল পান রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna)। এক্ষেত্রে ডানপ্রান্ত থেকে তাঁকে নিখুঁত পাস বাড়ান মনবিন্দর। মিনিট দুয়েক বাদেই ডানপ্রান্ত জোরাল শটে ফের লাল-হলুদ জালে বল জড়ান মনবীর নিজে। এবারে তাঁকে নিখুঁত পাস বাড়ান সদ্য ইউরো কাপ (Euro Cup) খেলে আসা জনি কাউকো। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি আসে লাল-হলুদ গোলরক্ষক অরিন্দমের ভুলে। এবারে গোল করেন লিস্টন। এরপর প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই অর্ধেই ভুরি ভুরি সুযোগ পান সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। ফিনিশিং ভাল হলে খেলার ফল আরও লজ্জাজনক হতে পারত লাল-হলুদের জন্য।
[আরও পড়ুন: India vs New Zealand: অক্ষর-অশ্বিনের প্যাঁচে চাপে নিউজিল্যান্ড, দিনের শেষে উইকেট খোয়াল ভারতও]
মাণ্ডবী নদীর তীরের ডার্বি ঘিরে আজ বাংলা দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেলেও দুই দলের সমর্থকরাই হয়তো একটা বিষয়ে একমত হবেন, ডার্বিতে এত জঘন্য ফুটবল দীর্ঘদিন খেলেনি কোনও দল। শুধু ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারই নয়। গোটা ম্যাচে যেভাবে সবুজ-মেরুন আক্রমণের সামনে ইস্টবেঙ্গল অসহায় আত্মসমর্পণ করল, সেটা সত্যিই বেনজির এবং বিরল। এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা এদিন হয়তো একটা আক্ষেপ নিয়েই ঘরে ফিরবেন, ইশ আরেকটু যত্নশীল হলেই হয়তো ৫-০ হতে পারত।