সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের প্রথম দিনে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। দুর্ঘটনায় গাড়ির নিচে পা ও পোশাক আটকে যায় স্কুটিচালক তরুণীর। যার পরে ১৩ কিলোমিটার রাস্তা তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। পরে পুলিশ তরুণীর বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার করে। এবার জানা গেল, উৎসবের রাতে একই ধরনের ঘটনায় নয়ডায় (Noida) মৃত্যু হয়েছে এক সুইগি ডেলিভারি এজেন্ট যুবকের। তাঁর স্কুটারে ধাক্কা মারার পর তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে টেনে নিয়ে যায় ‘ঘাতক’ গাড়ি। মৃত্যু হয় যুবকের। ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত গাড়ি চালকের খোঁজ মেলেনি।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সুইগি ডেলিভারি এজেন্ট কুশলের। বর্ষবরণের রাতে গ্রাহককে খাবার পৌঁছে দিতে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনা ঘটে নয়ডার সেক্টর ১৪-তে, উড়ালপুলের কাছে। জানা গিয়েছে, কুশল স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন। তাকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। এরপর কুশলকে ৫০০ মিটার দূরের মন্দিরের কাছ অবধি ঘষটাতে ঘষটাতে নিয়ে যায় গাড়িটি। সেখানে থামালেও মৃতদেহ দেখার পরে গাড়ি নিয়ে পালায় চালক। কুশলের ভাই রাত একটা নাগাদ ফোন করলে এক পথচারি ফোন ধরে এবং দুর্ঘটনার কথা জানায়।
[আরও পড়ুন: বেকারত্ব বাড়েনি, বেড়েছে কর্মসংস্থান! ‘ভিত্তিহীন’ সমীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি কেন্দ্রের]
কুশলের ভাই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে। অজ্ঞাত গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীকে চিহ্নিত করা হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: একসময় গুজরাট সরকারের আইনসচিব ছিলেন, বিলকিসের মামলা থেকে সরলেন সেই বিচারপতি]
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে দুর্ঘটনায় ছেঁচড়ে মৃত অঞ্জলি সিংয়ের ঘটনায় যৌন হেনস্তারও অভিযোগ উঠেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে জানা গিয়েছে, কোনও জোরজবরদস্তি করা হয়নি তাঁর উপরে। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, আতঙ্ক আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে প্রাণ হারান অঞ্জলি। তাঁর মাথা, শিরদাঁড়া, উরু এবং পায়ের নিচের অংশে আঘাত লেগেছিল। দীর্ঘ রাস্তা ছ্যাঁচড়ানোর কারণেই এধরনের চোট পেয়েছিলেন তরুণী বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।