সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দখলে এসেছে কাবুল (Kabul)। এবার স্রেফ সরকার গঠনের পালা। কিন্তু সেই সরকার গড়তে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে তালিবান (Taliban) শীর্ষনেতাদের। নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবান সংসারে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সংবাদ সংস্থার খবর, মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি গোষ্ঠী এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলল তালিবানকে।
তালিবানের (Taliban Terror) সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, মোল্লা ইয়াকুব নাকি স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছেন, যাঁরা দোহায় তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে বসে আছেন, তাঁদের হুকুম শুনতেও তিনি রাজি নন।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল]
শুধু হাক্কানি বা ইয়াকুব গোষ্ঠীই নয়, একে একে তালিবানের অন্য গোষ্ঠীগুলিও নিজেদের অধিকার নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তালিবানের শীর্ষনেতারা। ফের আরও একটা গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হবে না তো! সেই আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে তালিবানের অন্দরে। ১৯৯৬ সালে তালিবান যখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছিল, তখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হয়ে গিয়েছিল তারা। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই শীর্ষনেতাদের নিয়ে বৈঠক চালাচ্ছেন তালিবান প্রধান হাইবাতোল্লা আখুন্দজাদা।
রাতের খবর, খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে (Afghanistan) সরকার গঠন হবে। দিনভর দফায় দফায় বৈঠকের পর এই বার্তা তালিবানের। এই ব্যাপারে তাদের ঐকমত্য হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। মূলত মৌলবাদী নেতাদের কাছে টেনে সরকার গঠনে জোর দেওয়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদাকে মাথায় রেখে সরকার গঠন করা হবে। তার নিচে থাকবে বিলাল কারিমি, আবদুল গনি বরাদরের মতো নেতারা।
[আরও পড়ুন: প্রযুক্তির জ্ঞান শূন্য! Kabul Airport সচল করতে বিদেশি শক্তির দ্বারস্থ তালিবান]
রাতের বৈঠক শেষে করিমি জানিয়েছেন, ইসলামিক নেতাদের প্রাধান্য দিয়েই আফগানিস্তানে সরকার তৈরি করবে তালিবান। তবে এখনই মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না। এই ব্যাপারে আগামী কয়েকদিন পরেই তা জানানো হবে বলে দাবি করিমির। তালিবান নেতার এই ঘোষণার মধ্যেও উত্তর আফগানিস্তানের উপজাতি নেতাদের এদিনও বাগে আনা যায়নি। এই ব্যাপারে বৈঠক ব্যর্থ বলেই দাবি করা হয়েছে।